সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রথম বলেই উইকেট বাংলাদেশের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন শেখ মেহেদী হাসান। এই স্পিনারের প্রথম বলে আউট হয়ে গেছেন অ্যালেক্স ক্যারি। এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশ পেয়েছে আরেকটি উইকেট।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩১ রান করেছে বাংলাদেশ। বড় স্কোর গড়তে না পারায় বোলিংয়ে দারুণ শুরু প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। সেই শুরুটা এনে দিলেন মেহেদী। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ শুরুতে তার হাতেই তুলে দিয়েছিলেন বল। বল পেয়েই বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন ক্যারিকে।
তাতে কোনও রান তোলার আগেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। শুরুর ধাক্কা সামলাবে কী, দ্বিতীয় ওভারে আবার উইকেট হারিয়েছে তারা। নাসুম আহমেদের বলে ফিরে গেছেন জশ ফিলিপে। স্টাম্পিং হয়ে ফেরার আগে ৫ বলে ১ ছক্কায় করেন ৯ রান। সফরকারীদের স্কোর ছিল ২ ওভারে ২ উইকেটে ১১ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই কাজ সহজ করে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের বোলারদের সামলানোর চ্যালেঞ্জ অবশ্যই ছিল। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ সে কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেও গিয়েছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের খুব বেশি চেষ্টা করতে হয়নি, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে তাদের কাজ সহজ করে দিয়েছেন। উইকেট ছেড়ে আসার খেলায় নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৭ উইকেটে ১৩১ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাজেভাবে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার (৯ বলে ২) ও নাঈম শেখের (২৯ বলে ৩০) আউট ছিল দৃষ্টিকটু। নুরুল হাসান সোহানও (৪ বলে ৩) উঠবেন কাঠগড়ায়। ধৈর্যশীল ইনিংস খেলা সাকিব আল হাসানের (৩৩ বলে ৩৬) আউটেও কৃতিত্ব পাবেন না বোলার জশ হ্যাজেলউড। কেবল আফিফ হোসেন (১৬ বলে ২৩) ও শামীম হোসেনের (৩ বলে ৪) আউট দুটিতে ছিল মিচেল স্টার্কের প্রশংসা করার মতো বোলিং।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার হ্যাজেলউড। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। স্টার্ক ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যান্ড্রু টাই।