সুপ্রভাত ডেস্ক »
খ্রিস্টিয় নতুন বছরের প্রথম দিন প্রবাসে কর্মজীবীদের জন্য সুখবর দিল সরকার।
জানুয়ারি থেকে রেমিটেন্সে প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থাৎ বিদেশে থাকা বাংলাদেশি কেউ ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে দুই টাকা ৫০ পয়সা যোগ হয়ে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা পাবে তার স্বজনরা।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, রেমিটেন্সে সরকারি প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানো প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ‘নববর্ষের উপহার’।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের শীর্ষ খাতের একটি হল এক কোটির বেশি প্রবাসীর পাঠানো অর্থ।
এই অর্থ অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমেও আসছিল। ২০১৯ সাল-২০ অর্থ বছরে সরকার বৈধ পথে অর্থ পাঠানো উৎসাহিত করতে রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে। খবর বিডিনিউজের
করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কায় বৈদেশিক শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হলেও এই সময়ে আশার আলো জ্বেলে রাখে প্রবাসীকর্মীদের পাঠানো কষ্টার্জিত টাকা। এক্ষেত্রে ওই নগদ প্রণোদনারও ভূমিকা রয়েছে বলে সরকারের ভাষ্য।
মহামারীর মধ্যেও ব্যাংকিং মাধ্যমে রেমিটেন্স বেড়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮.২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
প্রণোদনা অব্যাহত রাখার পর ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিটেন্স দাঁড়ায় ২৪.৮০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৬ শতাংশ বেশি।
সেই প্রণোদনার হার বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জনমানুষের সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্সের গুরুত্ব বিবেচনায় বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমজীবী মানুষের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয় বৈধ উপায়ে দেশে প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে রেমিটেন্স প্রেরণের বিপরীতে সরকার কর্তৃক ২ শতাংশ প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রদানের বিদ্যমান হার বাড়িয়ে ২.৫%-এ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ধিত এ হার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।’
টপ নিউজ