সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মালদ্বীপকে হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা বাংলাদেশ দল আজ শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এ ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। পরে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারত জিতলে চূড়ান্ত হয়ে যাবে ‘এ’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সেমিফাইনাল ওঠা। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১টায়। এর আগে হওয়া পাঁচ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একবারও মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ-পাকিস্তান।
এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সামনে তাই অচেনা পাকিস্তান। তবে মাত্র চার বছর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের আছে মধুর এক অভিজ্ঞতা। ভুটানে হয়েছিল সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল ১৭-০ গোলে। ওই ম্যাচ সিরাজ জাহান স্বপ্না একাই করেছিলেন ৭ গোল। সেই স্বপ্না এখন নারী সিনিয়র দলে। চার বছর আগে ১৭ গোলে জয়ের ওই ম্যাচটি পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে স্বপ্না-মারিয়াদের।
ওই ম্যাচ সম্পর্কে সিরাজ জাহান স্বপ্না বলেছেন, ‘আবারও পাকিস্তান, আবারও সেই সাফ। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে। এবার খেলবো সিনিয়র লেভেলে। শনিবার অবশ্যই ভাল কিছু করার ইচ্ছা থাকবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলের ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ্ ভালো কিছু হবে। ২০১৮ সালের ওই ম্যাচের স্মৃতি অবশ্যই আমাকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
প্রতিপক্ষের শক্তি সম্পর্কে স্বপ্না বলেছেন, ‘আমরা পাকিস্তানের খেলা যতটা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে তারা মোটামুটি ভালোই খেলে। গত ম্যাচে তারা ভারতের কাছে হারলেও মোটামুটি আক্রমণ করেই খেলেছে। আমরা সচরাচর যে ধরনের খেলাটা খেলি, সেটাই খেলবো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেমিফাইনালে যেতে হলে ও সেখানে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ নেপালকে এড়াতে হলে গ্রুপপর্বে আমাদের গোল গড়টা বাড়িয়ে নেওয়া জরুরি। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদের ফিনিশিং ভালো হবে।’ ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘গত ম্যাচে আমাদের যেসব ভুল হয়েছে, সেগুলো যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে না হয়, সেদিকে সচেষ্ট থাকবো।
আজ ফরোয়ার্ডদের নিয়ে বিশেষভাবে ফিনিশিংয়ের অনুশীলন করা হয়েছে। সবার জায়গা থেকে শতভাগ চেষ্টা করবো।’ সানজিদা আক্তার বলেছেন, ‘২০১৮ সালে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আমরা পাকিস্তানকে ১৭ গোল দিয়েছি। তবে ওরা এবার ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে, এখানে ভালোই খেলবে। পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটা আমরা দেখেছি। ওদের খেলার ধরন দেখে কোচ আমাদের অনুশীলন করিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে আমাদের জেতার পরিকল্পনা ছিল, জিতেছি। ম্যাচ বের করে এনেছি। সামনে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা, আমরা বেশি গোল করার চেষ্টা করবো। আমরা আমাদের নরমাল খেলাটাই খেলবো।’ নিজের গোল করা প্রসঙ্গে সানজিদা বলেছেন, ‘যেহেতু উইংয়ে খেলি, সেহেতু আমার লক্ষ্য থাকে অন্যদের গোল বানিয়ে দেওয়া। প্রথম ম্যাচে সাবিনা আপুকে দিয়ে ১টি গোল করিয়েছি। তাই নিজে গোল করতে না পারলে কোন আক্ষেপ হয় না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল করার এবং করানোর চেষ্টা করবো।’