সুপ্রভাত ডেস্ক >>
কোভিড-১৯ টিকা কিংবা নমুনা পরীক্ষা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তিতে না পড়তে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলেই তিনি যেন নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নেন। আর গ্রামেও টিকার ব্যবস্থা সরকার করছে, ফলে সবাই যেন টিকা নিয়ে নেন। মঙ্গলবার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এদিনই সরকার ইউনিয়ন পর্যায়েও টিকাদানের সিদ্ধান্ত জানায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একেবারে গ্রাম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সেখানে যে সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, তা না। আইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) নিয়ে সরাসরি টিকা কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবে।
টিকা সংগ্রহ করতে সরকার তৎপর জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের ব্যাপারে যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে, আমরা তা যোগাড় করছি। এর জন্য আলাদা টাকা রাখা আছে। আরও লাগলে আরও টাকা দেব। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ, যারা ভ্যাকসিন নিতে পরে ডব্লিউএইচও এর নির্দেশ মোতাবেক, সবাই যেন ভ্যাকসিন নিতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখের মতো ভ্যাকসিন কিন্তু আমরা দিয়ে দিয়েছি। খবর বিডিনিউজ।
টিকা নিয়ে ভীতি কাটলেও নমুনা পরীক্ষা করাতে অনেকেই চান না বলে খবর পাওয়ার কথা জানান শেখ হাসিনা। যেটা আমি গ্রাম থেকে খবর পাই। কেউ পরীক্ষা করতে চায় না। তাদের ধারণা, টেস্ট করলে করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, তার সাথে মানুষ মিশবে না। এটা তো ঠিক না। বরং পরীক্ষা করিয়ে রোগ শনাক্ত হলে ওই ব্যক্তি যেমন চিকিৎসা করাতে পারবে, তেমনি তার কাছে থেকে অন্যের মধ্যে ছড়ানোও রোধ করা যাবে, বলেন তিনি। টিকা নেওয়া ও নমুনা পরীক্ষা করাতে জনগনকে সচেতন করে তুলতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সাধারণ মানুষকে একটু সহযোগিতা করা, যেটা তোমরা আগেও করেছ। এটা করবে যাতে সবাই ভ্যাকসিনটা নিতে পারে। আমরা যদি ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে পারি, তাহলে তো আর চিন্তা নেই। তখন (আক্রান্ত) হলেও সেটা বেশি ক্ষতি হচ্ছে না।