খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক <
ছোট টং দোকানে বসে আছে শহীদ। কপালে ভাঁজ। চেহারা বিষণ্ন। কাজ না পাওয়ায় হাতে গামছা নিয়ে তাকিয়ে আছে পেয়াজ ভর্তি ট্রাকের দিকে। এসময় তিনি জানান, ‘গত চার-পাঁচ দিনে দৈনিক ২০০ টাকাও তোলা যায়নি। যেখানে প্রতিদিন ক্রেতা কম ৭০০/৮০০ টাকা আয় হতো।’
শুধু শহীদ নয়। আরো শত শত শ্রমিক এভাবে হাত গুটিয়ে বসে আছে।
সরকার ঘোষিত তৃতীয় দফা লকডাউন। আজকে সপ্তম দিন। গতকাল বিকাল চারটায় দেখা গেল ট্রাক আর কাভার্ডভ্যানের সারি। মাল উঠা-নামা চলছে। কিন্তু দেখা নেই ক্রেতার। অধিকাংশ ব্যবসায়ী কাটাচ্ছেন অলস সময়। শ্রমিকদের ছিল না গাড়িতে পণ্য বোঝাই করার তাড়া।
ব্যবসায়ীরা বলছে, চাহিদার বেশি আমদানি হয়েছে। ব্যাংক খোলা থাকায় পণ্য আমদানিতেও সমস্যা হচ্ছে না। বন্দর ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও লকডাউনের আওতা বহির্ভূত। পণ্য আড়তে আসতে কোন বাঁধা নেই। ভোগ্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল। তাই পাইকারি বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কম।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন জানান, ‘এ বছর পণ্যের দাম কম। মজুদও পর্যাপ্ত আছে। ব্যাংক খোলা রাখায় পণ্য আমদানিতে সুবিধা হয়েছে।’
দাম কম হলেও দেখা নেই ক্রেতার। দোকানের কর্মচারীদের পোহাতে হচ্ছে না বাড়তি ঝামেলা। ক্রেতা কম হওয়ায় আপনাদের ব্যবসায়ে কেমন লোকসান হচ্চে? জানতে চাওয়া হলে মহিউদ্দীন বলেন, আমাদের অনেক দ্রব্য মোবাইলে বিক্রি হচ্ছে। লকডাউনের কারণে কিছুটা লোকসান তো হচ্ছে। পরিবহন সংকটের কারণে অনেক ক্রেতা বাজারে আসতে পারছে না।’