একদিনে পুলিশসহ ৪৬ জন রোগী শনাক্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া :
লকডাউন তুলে নেওয়ার পর পটিয়ায় বাড়ছে করেনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একদিনে (মঙ্গলবার) পুলিশসহ ৪৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে পটিয়া থানা পুলিশের একজন কনস্টেবলও রয়েছেন। ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নতুন করে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে মরণআতংক দেখা দিয়েছে। এস আলম গ্রম্নপের পরিচালক মো. মোরশেদুল আলমসহ এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নে ১জন, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে ২জন, উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নে ১জন মারা গেছেন। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা জাহান উপমা মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিদিনেই কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় বাড়ছে করোনা রোগী বাড়ছে। এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন পরিবহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল শুরম্ন করেছে। ফলে গণপরিবহনে যাতায়ত করা লোকজনও সামাজিক দূরত্ব মানছে না। ঈদের পর থেকে পটিয়াতে হাটহাজার, দোকানসহ বিভিন্ন গণপরিবহনে মানুষের চলাচল বেড়েছে। মূলত লকডাউন তুলে নেওয়ার পর এখানকার মানুষ করোনাভাইরাসকে তোয়াক্কা করছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের তথ্য ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পটিয়ার বেশ কয়েকজন লোক করোনা আক্রানেত্ম মারা গেছেন।
জানা গেছে, ঈদের পর সাধারণ ছুটি শেষে লকডাউন তুলে নেওয়ায় চট্টগ্রার জেলার মধ্যে পটিয়া উপজেলা ডেঞ্জার জোন হিসেবে আলোচনায় এসেছে। দড়্গিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী এলাকার মধ্যে পটিয়াতে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে আতংকও সৃষ্টি হচ্ছে। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নমুনা সংগ্রহকারী ইপিআই কর্মচারী ও ল্যাব টেকনিশিয়ানের করোনা পজেটিভ পাওয়ার পর বেশ কিছুদিন নমুনা পরীক্ষা বন্ধ ছিল। বর্তমানে ইপিআই রবিউল হোসেন রবি সুস্থ হয়ে পুনরায় করোনাযুদ্ধে নমুনা সংগ্রহে নেমেছেন। উপজেলার হাইদগাঁও এলাকায় প্রথমে এক প্রতিবন্ধী শিশু করোনাভাইরাসে মারা যায়। হাইদগাঁও, কেলিশহর, পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড, কচুয়াই, কোলাগাঁও, কুসুমপুরা, পটিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় করোনা রোগী বাড়ছে। বেশির ভাগ রোগী নিজ নিজ ঘরে চিকিৎসাধীন।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহানা উপমা জানিয়েছেন, একদিনে পটিয়াতে পুলিশসহ ৪৯ জন ব্যক্তি করোনা পজেটিভ। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পটিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ৩৫১জন ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন। তার মধ্যে ৯৪জনের রির্পোট পজেটিভ। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৭জন করোনা রোগী।