চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা সভা
বিশ্বমহামারি করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নিয়ে নির্বাচনী আমেজে ফিরেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
করোনায় স্থগিত হওয়ার পর নির্বাচন সংক্রান্ত প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাট বাড়িতে অনুষ্ঠিত সভাটি মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভা হলেও এতে প্রাধান্য পায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ডগুলোতে যে সমস্ত বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণ চালিয়ে যাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় নির্বাচন থেকে তাদের বিরত রাখার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
নগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও সিটি করপোরেশন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা মানতে হবে। কেন্দ্র থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, তারাই চূড়ান্ত প্রার্থী।’
মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ ও নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের বিজয় ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। অতীতেও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিজয়ের প্রতীক নৌকা সকল ষড়যন্ত্র ও কুচক্রীমহলের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে পেরেছিল।
সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সংগঠনে দল ও উপদল আমি বুঝি না। বুঝি, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। কারণ এই প্রথমবারই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রেজাউল করিম চৌধুরীর হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা তুলে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, বিজয়ের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক, বাঙালি জাতিসত্তার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক। তাই নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে হবে এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে মেয়র হিসেবে রেজাউল করিম চৌধুরীকে উপহার দেবো, ইনশাল্লাহ।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সহসভাপতি এডভোকেট সুনীল সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, এম এ রশিদ, কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, আইনবিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও গবেষণা সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জোবায়রা নার্গিস খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, উপদপ্তর সম্পাদক মো. শহিদুল আলম, উপদপ্তর সম্পাদক জহরলাল হাজারী এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি