সুপ্রভাত ক্রাড়ী ডেস্ক »
আগের ম্যাচে ২-০ গোলে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে খেলার আগে স্বস্তি ফিরেছে দলে। দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে নেপালকে রুখে দিয়ে গোলশূন্য ড্র আদায় করেছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা।
আগের ম্যাচে লড়াই করেও জয় সঙ্গী হয়নি। এদিন ভুলত্রুটি শুধরে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রায় সমান তালে লড়াই করার চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। অন্তত এই ম্যাচে গোল হজম করতে হয়নি। এটাই এখন গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের জন্য বড় স্বস্তিদায়ক খবর। ম্যাচের ২০ মিনিটে যদিও নেপালের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষের এক ফরোয়ার্ড বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগেই মাসুরা পারভীন নিখুঁত স্লাইডিংয়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন।
দশ মিনিট পর সুযোগ তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের কৃষ্ণা রানী সরকার। কিন্তু এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাইলাইনের কিছুটা ওপর থেকে এই ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবারের ওপরের দিকে লেগে বেরিয়ে গেছে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে রক্ষণে বেশ চাপ দেয় নেপাল। কিন্তু সাবিনাদের দৃঢ়তায় সমতার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে গেছে সফরকারীরা।
৪২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন মারিয়া মান্দা। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা রাশমি কুমারি গিসিংকে আটকাতে পেছন থেকে ট্যাকল করেছিলেন তিনি!
বিরতির পরও একই গতিতে খেলা হয়েছে। কিন্তু এই অর্ধেও কোনও গোল হয়নি। একাধিকবার নেপালের সীমানায় বল নিয়ে গেলেও ফিনিশিং দুর্বলতায় গোল পায়নি বাংলাদেশ। আর স্বাগতিকরাও পারেনি গোলকিপার রুপনা চাকমাকে সেভাবে বড় পরীক্ষায় ফেলতে।
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল যাবে উজবেকিস্তান। সেখানে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ‘জি’ গ্রুপে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে ইরান ও জর্ডান। ৮ গ্রুপের শীর্ষ দল যাবে চূড়ান্ত পর্বে। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন জাপান, রানার্স-আপ অস্ট্রেলিয়া, তৃতীয় স্থান অধিকারী চীন এবং স্বাগতিক ভারত।