পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে মতবিনিময়
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব গ্রহণের পর চসিকের সেবাদানকরী বিভাগসমূহের সাথে সমন্বয় বৈঠকের অংশ হিসেবে রোববার অপরাহ্নে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক পুরাতন নগরভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম শহর যদিও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কিন্তু এর গুরুত্ব অনেক বেশি। চট্টগ্রাম হলো দেশের হৃদপিন্ড। নাগরিক স্বার্থে নগর আবর্জনা ও বর্জ্য অপসারণে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
চসিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজে আন্তরিকতা, শতভাগ সততা প্রত্যাশা করে প্রশাসক বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতীতের কাজ কর্মের বিষয়ে কিছুই বলার নেই, এখন থেকে সকলকে শতভাগ সততার সাথে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যারা ভাল কাজ করবেন তাদেরকে বেস্ট পারফরমার হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও সততার ঘাটতি পরিলক্ষিত হলে তার পরিণাম ভোগ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মূল চালিকা শক্তি দুইটি একটি পরিচ্ছন্ন ও অন্যটি প্রকৌশল বিভাগ। চলমান বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিত পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করে ভরাট নালা-নর্দমার মাটি আবর্জনা অপসারণ করতে হবে। প্রয়োজনে রাত-দিন কাজ করতে হবে। খাল-ছড়া, নালা-নর্দমার ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সীমিত সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করছি। অপর দিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরির মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। উভয়ের সম্মিলিত প্রয়াস, মেধা, বুদ্ধি ও পরিকল্পনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
চসিক প্রশাসক আরো বলেন, প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী আপনাদের নিরলস পরিশ্রমে চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার কারণে ১৯৯৫ সালে হেলদি সিটি হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুরস্কার লাভ করেছিলেন। চট্টগ্রামের সেই হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে চাই।
তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে রিয়াজ উদ্দিন বাজার ও ফলমুন্ডি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য লিফলেট বিতরণ, প্রতিটি দোকানে ময়লা রাখার জন্য চসিক লিখিত কালো বস্তা বিতরণ করা হবে। যে সমস্ত দোকানদার দোকানের ময়লা যত্রতত্র ফেলবেন তাদের জরিমানা করার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও ডোর টু ডোর ময়লা সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি স্টেশনে যে ময়লা জমানো হয় তা তেরপাল দিয়ে ঢেকে দিতে এবং পরিষ্কার করার পর সেখানে বিলিচিং পাউডার, মশার ওষুধ ছিটিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, কোথাও খোলা ময়লা দেখতে চাই না। ডাম্পিং স্টেশনের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডাম্পিং স্টেশনে নিয়মিত বিলিচিং পাউডার, মশার ওষুধ ছিটিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত রাখারও নির্দেশনা প্রদান করেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল চট্টগ্রামে নাগরিকদের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই। এ ক্ষেত্রে নগরবাসীসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের সার্বিক সহযোগিতা তিনি কামনা করেন।
এ সময় চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ পরিচ্ছন্ন জোন প্রধান, পরিদর্শক ও সুপারভাইজারগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি