২ কোটি টাকার সামগ্রী জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর দেওয়ানবাজার চন্দনপুরা মাজার গলিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এক জর্দা কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৭ ট্রাক জর্দা, উৎপাদনের উপকরণ, কৌটা ও যন্ত্রপাতি আটক করেছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় সাগর কেমিক্যাল অ্যান্ড কোম্পানি নামের এ কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২ কোটি টাকার মূল্যের এ সামগ্রী জব্দ করা হয়। প্রাথমিক মূল্যায়নে এ ঘটনায় এক কোটি একত্রিশ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মূসক নিবন্ধন ছাড়াই ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সদরঘাটস্থ পুরাতন কাস্টমস ভবনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মো. এনামুল হক এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, অভিযানকালে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ও অবৈধ প্রায় ১২ হাজার ১০ কৌটা, ৩ হাজার ৮৪০ প্যাকেট জর্দা, ৭২ বস্তা জর্দা তৈরির উপকরণ, ৪৬ বস্তা খালি কৌটা, ২টি জর্দার কৌটাজাত করার মেশিন, ১টি প্যাকেজিং মেশিন এবং জর্দা তৈরি ও মোড়কজাত করার বিভিন্ন উপকরণ আটক করে ৭টি ট্রাক ও ২টি পিকআপে করে সদরঘাট কাস্টমস গুদামে রাখা হয়। তবে প্রতিষ্ঠান ও ঘরের মালিককে পাওয়া যায়নি। জায়গার মালিকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মালিককে আটক করার চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. এনামুল হকের সার্বিক নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগ্রাবাদ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা উপ-কমিশনার শাহীনূর কবির পাভেলের নেতৃত্বে সদর দপ্তর প্রিভেন্টিভ ও কোতোয়ালী সার্কেলের সমন্বয়ে অভিযানকালে ছোট সেমি পাকা ঘরে শিশু শ্রমিক ও মহিলাদের প্যাকেটজাত করতে দেখা গেছে।
ভ্যাট কমিশনার জানান, মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আটক করা হয়নি।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, আগ্রাবাদ বিভাগের উপ-কমিশনার শাহীনুর কবির পাভেল, কোতোয়ালী সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল টুলু, সদরঘাট সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা শাহীন আকতার, সদর প্রিভেন্টিভের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুর রহমানসহ অভিযানে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সম্প্রতি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উদ্যোগে জরিপ কার্যক্রম চলছে। এর সুবাদে অনেক নতুন প্রতিষ্ঠানের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে। এতে ভ্যাট নিবন্ধন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮ হাজার থেকে বেড়ে ২১ হাজারে উন্নীত হয়েছে, যা সন্তেষজনক বলে উল্লেখ করেন কমিশনার মো. এনামুল হক।