চসিকের সাধারণ সভায় মেয়র
মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়ের উৎস হচ্ছে শুধু গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স। কিন্তু এমন অনেক খাত আছে যেখান থেকে কর আদায় করা যায়। সে খাতগুলো কার্যকর করে করের আওতা বাড়াতে হবে। তিনি কর কর্মকর্তা, উপ কর কর্মকর্তা ও কর আদায়কারীদের কর আদায়ে নানা অসংগতি ও অদক্ষতা পরিলক্ষিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি করে ১৫ দিনের মধ্যে পেশ করার নির্দেশনা দেন।
মেয়র বলেন, নগরবাসীর মন জয় করতে না পারলে চসিকের এ পরিষদের সকল কর্মকাণ্ড ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। সেজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরদের নিজেদের ওয়ার্ডের জনগণকে সন্তুষ্ট রাখতে যা যা প্রয়োজন সমস্ত সেবামূলক কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করে নিজেদের সুনাম অর্জনের পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনে কে বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিক ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ১৪তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
মেয়র আরও বলেন, বর্ষা শুরুর আগে নগরীর সব খাল থেকে মাটি উত্তোলন করে জলজট দূরীকরণে ব্যবস্থা নিতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের যে কাজ চলছে, তাতে বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে দায়িত্ব নিয়ে আগামী বর্ষায় যাতে কোন ধরনের জলজট না হয় সে ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকার ফলে জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে।
মেয়র নগরীর মেগা প্রকল্পের আওতার বাইরে যে ২১টি খাল রয়েছে সে খালগুলোর সঠিক অবস্থান নির্ণয় ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির নির্দেশনা দেন। তিনি পরিচ্ছন্ন বিভাগের জনবলের ছবি সম্বলিত তালিকা প্রণয়ন ও ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। এছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পরিচ্ছন্ন, মশক নিধন, আলোকায়নের সার্বিক তত্ত্বাবধান ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলরদেরকে গ্রহণ করে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেন।
তিনি আগামী রমজান মাসকে সামনে রেখে নগরী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, তারাবি নামাজের আগে প্রতিটি মসজিদে ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধনের ওষুধ স্প্রে করা, ওয়াসা কর্তৃক কর্তনকৃত রাস্তা দ্রুত প্যাঁচওয়ার্কের মাধ্যমে মেরামত, নতুনভাবে কোন রাস্তা কর্তন না করা, নগরীতে নিরবিচ্ছিন্ন আলোকায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
চসিক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও বিভাগীয় প্রধানরা বক্তব্য রাখেন।
মেয়র ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকাণ্ডের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সিটি করপোরেশনের অনেক সম্পত্তি এখানো বেহাত আছে। বারবার তাগাদা দেবার পরও ভূ-সম্পত্তি শাখা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি জরুরি ভিত্তিতে একজন ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নিয়োগসহ পুরো শাখাকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের নানা অনিয়ম অসংগতি দূর করতে কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করে পরিপূর্ণ আলোকায়নে ব্যবস্থা গ্রহণের কঠোর নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি