‘দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক রাজনীতিবিদের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মকা- নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি, কিন্তু সাধারণ মানুষের মন কিভাবে জয় করতে হয়, ত্যাগ এবং আদর্শের রাজনীতি কিভাবে করতে হয় তা শিখেছি মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতার কাছ থেকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন মরহুম এম এ ওহাব। উনি আমার একজন রাজনৈতিক শিক্ষক ছিলেন।’
গতকাল নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে আয়োজিত এম এ ওহাবের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু ইউরোপ আমেরিকার বাজারের চেয়ে বাংলাদেশে তা অনেক কম, তথাকথিত আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, অতীতে অগ্নি ও বোমা সন্ত্রাস চালিয়ে বিএনপি-জামায়াত অনেক মানুষ হত্যা করেছিলো, পুনঃরায় সে ধরনের কোন কর্মকা- চালানোর চেষ্টা করা হলে জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
সভার সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, এম এ ওহাবদের মতো মানবদরদী রাজনীতিবিদ আজকাল তেমন চোখে পরে না। ওনাদের রাজনীতি ছিলো ত্যাগ আর আদর্শের। আর এখনকার রাজনীতি হচ্ছে ভোগ বিলাসের। বর্তমানে অনেককে দেখা যায় তারা যেন এলাকার রাজা হয়ে গেছেন। জনতার জন্য তাদের কোন দরদ নেই।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, এম এ ওহাব একজন একেবারে তৃণমূলের নেতা ছিলেন, তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিলো কিন্তু তিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের মতোই তিনি চলাফেরা করতেন, তার মতো শুদ্ধ রাজনীতিবিদ জীবনে তেমন চোখে পরেনি।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, এম এ ওহাবের মতো নেতাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারলে একজন পরিশুদ্ধ রাজনীতিবিদ হওয়া যায়।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান বলেন, এম এ ওহাবের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো, তার মধ্যে কোনদিন ভোগ বিলাসের মানসিকতা দেখিনি, বর্তমান প্রজন্মের জন্য তিনি এক মহান আদর্শ।
এল জি ই ডি মিলনাতনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি অধ্যাপক মো মঈনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন রাশেদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, উত্তর দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পাদক ম-লীর সদস্য যথাক্রমে চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, মহিউদ্দিন বাবলু, আলাউদ্দিন সাবেরী, এম এ হান্নান মঞ্জু, জাফর আহমেদ, আবদুল কাদের সুজন, বোরহান উদ্দিন মোহাম্মদ এমরান, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু, আবু তালেব, আ স ম ইয়াছিন মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌস হোসেন আরিফ, গোলাম রব্বানী, মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সেলিম উদ্দিন, আখতার হোসেন খান, বখতেয়ার সাঈদ ইরান, হাসিবুন সুহাদ চৌধুরী সাকিব, আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, মরহুমের সন্তান ডা. নুরুদ্দিন জাহেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের দিলোয়ারা ইউসুফ, অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, শামীমা হারুন লুবনা, শফিকুল ইসলাম, নুরুল মোস্তফা মানিক, রাশেদ খান মেনন, সৈয়দ মঞ্জুরল আলম, নাছির হায়দার বাবুল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি