দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং

♦ আগামীকাল থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং
♦ আপাতত ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত
♦ সপ্তাহে ১ দিন বন্ধ থাকবে পেট্রোল পাম্প
♦ ৮টার পর শপিংমল বন্ধ
মসজিদে এসি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে
♦ সরকারি বেসরকারি অফিসের সভা হবে ভার্চুয়ালি
♦ অফিসের সময়সূচী ১-২ ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে বিদ্যুৎ ও তেলের খরচ কমানোর একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে।

খরচ কমাতে আজ থেকে দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখার ও সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এছাড়া কাল থেকে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হবে।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও  প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

‘এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে’, বলেন তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

‘পরীক্ষামূলকভাবে এই লোডশেডিং হবে, এটা দীর্ঘমেয়াদি না। আগে থেকে জানানো হবে লোডশেডিংয়ের সময়’, বলেন নসরুল হামিদ।

‘গাড়িতে তেল কম ব্যবহার করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।

প্রতিদিন রাত ৮টার পর শপিং মল ও দোকান-পাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।  কেউ যদি এ সময়ের পরে দোকান খোলা রাখে সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

মসজিদগুলোকে এসি ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে।

সরকারি বেসরকারি অফিসের সভা ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অফিসের সময়সূচী ১-২ ঘণ্টা কমানোর চিন্তা চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।