সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন
সকল ইউনিটের সম্মেলন২৫ মে’র মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
‘পেছনের দরজা দিয়ে অসাংবিধানিক উপায়ে ও সামরিক বিধি লঙ্ঘন করে সামরিক উর্দি পরা কিছু উচ্চাভিলাষী লোক ক্ষমতা দখল করে তথাকথিক রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তারা দীর্ঘ একুশ বছর জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিলো। এরা কখনো রাজনৈতিক শক্তি হতে পারে না। এরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন করে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়ে জাতির সর্বনাশ সাধন করেছে এবং কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের দায় মুক্তির সুযোগ করে দিয়েছে। এখন তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই এবং গণবিচ্ছিন্ন। প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করাটা তাদের একমাত্র অভীষ্ট।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সংগঠনের দারুল ফজল মার্কেটস্থ কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ বিরোধী চিহ্নিত মহলটি বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। এই ষড়যন্ত্রের জাল জাতির জন্য জ্বালা হয়ে ওঠার আগেই তাকে ছিন্ন করতে হবে।
সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানসম্মান, উন্নয়ন ও অর্জনের মাত্রাকে হিমালয় সম উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। দেশকে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে দরিদ্র থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। এই বিশাল অর্জনে ঈর্ষান্বিত একটি মহল, যারা কখনো বাংলাদেশ চায়নি এবং এখনও চাননা, তারা দেশ-বিদেশে নানামুখী ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে হাজার কোটি টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের ভিত্তি আলগা করতে ধুম্রজাল তৈরি করছে। এরা মিথ্যাচারের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চায় তারাই ক্ষমতার মূলধারা এবং এই ধারার নেতৃত্বের প্রতিভূরা ’৭১ এর পরাজিত শক্তির প্রশ্রয় ও আশ্রয় দাতা একমাত্র বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র মূল ভিত্তিই হলো জামায়াত। কারণ তাদের আসল খায়েস হলো বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো এবং যা তারা’৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। এই অসমাপ্ত মিশন শেষ করতে তারা আবার সামনে এসেছে।
সভায় গৃহীত সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা মতে নগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আওতাধীন ১৫টি থানায় নিজ নিজ ওয়ার্ড ও ইউনিটগুলোর সাংগঠনিক ভিত্তি দাঁড় করানোর জন্য যে সকল থানা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এগুলোর আহ্বায়কগণ ও সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিটের সাথে বসে ২৫ মে’র মধ্যে মহানগর দফতরে প্রতিবেদন আকারে পেশ করতে হবে। একই সাথে ইতিমধ্যে শেষ ইউনিটগুলোর যেকটিকে নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে সেগুলোর বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা পেশ করতে হবে। এছাড়া এখন পর্যন্ত যে সকল ইউনিটের সম্মেলন হয়নি সেগুলো ২৫ মে’র মধ্যে শেষ করতে হবে।
সভায় থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশনা দেয়া হয় এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে সংগঠিত করতে সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, হাজী মোহাম্মাদ হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, জোবাইরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দিন ইকবাল, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মো. আবু তাহের, ডা. মো. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল আবছার মিয়া, ছৈয়দ আমিনুল হক, পেয়ার মোহাম্মদ, কামরুল হাসান বুলু, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, বখতেয়ার উদ্দিন খান, জাফর আলম চৌধুরী, আবদুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান ইলিয়াস, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমেদ, মোর্শেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি