নিজস্ব প্রতিবেদক »
ছোট ভাইয়ের পর বড় ভাইয়েরও মৃত্যুর একই পরিণতি। অপঘাতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলো দুই ভাই।
জানা গেছে, মুরাদপুরে বৃষ্টির পানিতে নিখোঁজ ছালেহ আহমেদের ছোট ভাইয়ের মৃত্যুও একই নিয়মে। ছালেহ আহমেদের মতো ছোট ভাই লোকমান হাকিমের লাশের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। ছালেহ আহমেদ বৃষ্টির পানিতে হারিয়ে গিয়েছে আর লোকমান হাকিম দুবাইতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন।
দুই ভাই প্রবাসী ছিলেন। ছালেহ আহমেদ থাকতেন ওমান। ছোট ভাই লোকমান হাকিম থাকতেন দুবাই। ছালেহ আহমেদ দেশে ফিরলেও ফেরা হয়নি ছোট ভাইয়ের। ২০১০ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। বড় ভাই দেশে ফিরলেও করুণ মৃত্যু তার পিছু ছাড়েনি।
বাবার মৃত্যুর কথা বলতে বলতে সাদিকুল মহিম ফিরে গেলেন তার শৈশবে। তিনি বলেন, বাবার মৃত্যুর মতো ছোট চাচ্চুর (লোকমান হাকিম) মৃতদেহটার জন্য অপেক্ষায় ছিল সবাই। আমার বাবারা পাঁচ ভাই। সবার বড় এবং সবার ছোট দুইজনই মারা যাওয়ার সময় আমরা কেউ পাশে ছিলাম না। ছোট চাচ্চু মারা গেছেন দুইবাইতে। ২০১০ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায়। পরিবারের কেউ ছিল না। উনিও তো কাউকে দেখতে পায়নি। আব্বুও মৃত্যুর সময়ও একই ঘটনা। চাচ্চুর লাশের খবর বা ঠিকানা জানতে পারলেও আব্বুর লাশটা কোথায় আছে কেউ জানি না। এখনো অপেক্ষায় আছি। অন্তত লাশটা খুঁজে বের করা হোক।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট সকালে টানা বৃষ্টিতে নগরীর বেশকিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পানিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তা, খাল ও নালা। এর মধ্যেই ওইদিন সকালে নগরীর মুরাদপুর মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় চশমা খালে পা পিছলে পড়ে পানির তীব্র স্রোতে তলিয়ে যান সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ। ঘটনার পর উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে ঘটনার তের দিন পরেও উদ্ধার হয়নি ছালেহ আহমেদ। নিখোঁজের এতদিন পরেও এখনও তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় মানসিকভাবে চরম ভেঙ্গে পড়েছেন ছালেহ আহমেদের পরিবারসহ স্বজনেরা।
দুই ভাইয়ের একই পরিণতি
ছোট ভাইয়ের মতো বড় ভাইয়ের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা