নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা »
দীঘিনালায় জাহাঙ্গীর আলমের (৫০) মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ডেবার পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি উপজেলার পূর্ব হাজাছড়া গ্রামের মৃত সফি উল্লাহর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীর আলম দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ডেবার পাড় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে হাজাছড়া যাওয়ার পথে ডেবার পাড়ে নিহতের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেন। এসময় তার সাথে আলু ডাল, বিস্কুট ইত্যাদি বাজার সদাই ছিলো। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেল জিনিয়া চাকমা এবং দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম পেয়ার আহমেদ।
নিহতের স্ত্রী খাদিজা বিবি (৩৫) জানান, তার স্বামী উদ্দীনের দোকানে কারিগর হিসেবে চাকরি করতেন। সেখানে বেতন বাড়ানো নিয়ে দুজনের সাথে ঝগড়া হয়। পরে সেখানে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ৯ মাস আগে নতুন করে নিজেই দোকান দেয়।
নিহতের শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম জানান, মেয়ে জামাই জাহাঙ্গীর আলম খুবই সহজ সরল মানুষ। কেন তাকে নির্মমভাবে খুন করা হলো জানি না!
এব্যাপার জাহাঙ্গীর আলম দুলাল (সাবেক মেম্বার) জানান, নিহতের মাথা উদ্ধার করার জন্য পুকুরে জাল দিয়েছি। কিন্তু মাথা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মাথা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।