সেবক কলোনি
সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আরতি-মিঠুন দম্পতিকে সান্ত¦না জানিয়ে বলেন, আপনারা তিন সন্তানকে হারিয়েছেন। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়। সন্তানের এমন চলে যাওয়া কোনো বাবা-মায়ের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না। এত বড় বেদনা আর হতে পারে না। মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদের এই শোক সইবার শক্তি দিক।
তিনি পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন মেয়ে হারানো মিঠুন-আরতির বাসায় যান গতকাল রোববার সকালে এবং পরিবারটির হাতে অনুদানের নগদ অর্থ তুলে দেন।
নগরীর পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে থাকতেন পরিচ্ছন্ন কর্মী মিঠুন দাস ও আরতি দাস। গত ২০ জুন সকালে রান্নার চুলার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয় এ দম্পতির চার মেয়ে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে দুই মেয়ের মৃত্যুর পর বুধবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মারা যান তৃতীয় মেয়ে ছয় বছর বয়েসী হ্যাপি দাশ।
গত ২০ জুন সকালে আরতি ও মিঠুন দুইজনই কাজে বেরিয়েছিলেন। এসময় তাদের চার মেয়েই ঘরে ছিল। বড় তিনজনকে তারা বলে গিয়েছিলেন, তিন বছর বয়সী মেয়ে সুইটিকে দুধ খাওয়াতে। সকালে দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন লেগে যায় আর তা থেকেই মৃত্যু হয় তিন শিশুর।
এ সময় সেবকদের জন্য বান্ডেল কলোনিতে তিনটি বহুতল ভবনের কাজ পরিদর্শন করে মেয়র বলেন, সেবকদের নিরাপদ জীবন উপহার দিতে এই প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যে সেবকরা দিন-রাত শ্রম দেন তাদের জীবনকে সুন্দর করতে আমি সচেষ্ট আছি। পুরো সেবক কলোনিতে কোন ঝুকিপূর্ণ অবৈধ বিদ্যুত বা গ্যাসের সংযোগ আছে কী না তা পরীক্ষা করে অপসারণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম, রাজনীতিবিদ মাসুম চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ মো. হাশেম। বিজ্ঞপ্তি