নিজস্ব প্রতিবেদক <<
২ নম্বর গেইটে ভ্যানভর্তি তরমুজ। ক্রেতার জটলা। দাম শুনে ক্রেতাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বিড়বিড় করে অস্পষ্ট শব্দ বলতে বলতে চলে যাচ্ছে। তরমুজ বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলাম, ‘দাম শুনে চলে যাওয়ার কারণ কী?’ বিক্রেতা জানালেন, ‘দাম বেশি। গত সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ। আমরাও বেশি দামে কিনে বিক্রি করছি।’
সব খুচরা বিক্রেতার কাছে একই চিত্র। গতকাল বেলা তিনটায় ফলমন্ডিতে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদাররা তরমুজ সাজানোতে ব্যস্ত। কয়েকজন কর্মচারী তরমুজের গ্রেডিং (ছোট, মধ্যম, বড়) করছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কালো তরমুজ বিক্রি হয় কেজি হিসেবে। বাংলালিংক তরমুজ বিক্রি হয় পিস হিসেবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রতি কেজি কালো তরমুজ ছোট ৪৫ টাকা, বড় ৫৫ টাকা। বাংলালিংক তরমুজ প্রতিটি ছোট ১৫০ টাকা, মাঝারি ২৫০ টাকা ও বড় ৩৫০ টাকা। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে কালো তরমুজের দাম ছিল প্রতি কেজি ২০/৩০ টাকা। বাংলালিংক তরমুজ ছিল প্রতি পিস ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
তরমুজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে, মেসার্স লাবিব এন্টারপ্রাইজে কর্মরত মনির হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ। পরিবহন ব্যয় আমাদের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম ঠিক করতে হয়। ফলে তরমুজের দাম বেড়ে গেছে।
ফিরিঙ্গি বাজারে আড়তদার মামুনুর রশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রচণ্ড গরমের কারণে চাহিদা বেশি হওয়ায় দামের উপর প্রভাব পড়ছে।
উল্লেখ, চট্টগ্রামে তরমুজের যোগান আসে খুলনা, রাজশাহী, যশোর (নোয়াপাড়া) ও ভোলা অঞ্চল থেকে।
এ মুহূর্তের সংবাদ