চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপকেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ঢাবি ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান)কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলা ভর্তি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৯ হাজার ৮৩১ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ২৮৪ জন। উপস্থিতির হার ৯৪.৪৪ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৫৪৭ জন।
এবারের ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের (জিপিএ) ওপর ২০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সক্রিয় ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ভোগান্তি এড়াতে ৮ জোড়া শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং বিভিন্ন জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছে।
এদিকে গতবারের মতো এ বছরও বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তিপরীক্ষা হওয়ায় খুশি অভিভাবকরা। চকবাজার থেকে বোনকে নিয়ে এসেছেন মিশকাতুল আলম। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পরীক্ষা হওয়ায় কোন অতিরিক্ত প্রেসার নিতে হয় নি। সময় নষ্ট হয়নি, ভোগান্তিও কম হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নিতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, এটি ঢাবির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা সুন্দরভাবেই হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যেন কোন ভোগান্তি না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ নজরদারি রয়েছে।
হল পরিদর্শন শেষে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ঢাবির পরীক্ষা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরাও বিভাগীয় শহরে চবির ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এই বছর চেষ্টা করেছিলাম। তবে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা প্রস্তুত ছিলো না। আগামী বছর বিভাগীয় পর্যায়ে চবির ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে।