সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
অতীত পরিসংখ্যান দেখলে আজ জয়ের পাল্লা ভারি ছিল নেদারল্যান্ডসেরই। মুখোমুখি লড়াইয়ে ২০১৪ সালের পর ১০ ম্যাচে জয় ৭ টিতে! কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে আয়ারল্যান্ড প্রমাণ করে ছাড়লো টি-টোয়েন্টিতে তাদের সামর্থ্য কতখানি। ‘আন্ডারডগ’ হয়েও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আইরিশরা।
অবশ্য এই জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব পেসার কার্টিস ক্যাম্ফারের। টানা ৪ বলে চার উইকেট তুলে ডাচদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন! তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিকের নজির গড়েছেন তিনি।
আবু ধাবিতে প্রথম পর্বের ‘এ’ গ্রুপের খেলায় শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু আইরিশ বোলিংয়ে শুরুতেই তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে উইকেট হারিয়ে। সবচেয়ে বেশি ভয়ানক ছিলেন ক্যাম্ফার। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে পর পর ফেরান চারজনকে। ৯.২ ওভারে কলিন অ্যাকারম্যানকে গ্লাভসবন্দি করান প্রথমে। পরের বলে লেগ বিফোরে সাজঘরে পাঠান রায়ান টেন ডেসকাটকে। পরের দুই বলে স্কট এডওয়ার্ডস ও রোয়েলফ ভন ডার মারউইকে পাঠিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট! তার এই বোলিং নৈপুণ্যেই ৫১ রানে ৬ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।
ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড অবশ্য শুরু থেকে একপ্রান্ত আগলে থাকায় শোচনীয় অবস্থায় তাদের পড়তে হয়নি। সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ডাউডের বিদায়ের পর অধিনায়ক পিটার সিলার ২১ ও লোগান ভন বিক ১১ রান করায় শত রান পার করতে পেরেছে নেদারল্যান্ডস। সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ১০৬ রান।
৯ রানে ৩টি নিয়েছেন মার্ক অ্যাডেয়ার।ডাবল হ্যাটট্রিক করা ক্যাম্ফার ২৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫.১ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছে আয়ারল্যান্ড। ম্যাচ জিততে বড় অবদান ছিল পল স্টার্লিং ও গ্যারেথ ডেলানির। ৩৬ রানের মাঝে ওপেনার কেভিন ’ও ব্রায়েন (৯) ও অ্যান্ডি ব্যালবার্নি দ্রুত ফিরলেও জুটি গড়ে খেলেছেন ওই দুজন। ডেলানি ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তিনি ২৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে যখন ফেরেন, আইরিশদের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৯৫ রান। এর পর স্টার্লিং ধীর সুস্থে অপরাজিত থেকেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ৩৯ বলে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে।