ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত হলো।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ১১৮ কিলোমিটার আগে থেকেই ডাবল লাইন ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ১৩১ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি ৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েল গেজ লাইনে উন্নীত করার জন্য লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। যা গত ৮ বছর ধরে চলেছে।
আখাউড়া-লাকসাম ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এই ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইনের মধ্যদিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন পুরোটাই ডাবল লাইন ডুয়েলগেজে উন্নীত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোটাই ডাবল লাইন ডুয়েলগেজে উন্নীত হওয়ার মধ্যদিয়ে প্রতিটি ট্রেনযাত্রার সময় অনেকটা কমে আসবে। বিশেষ করে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করবে।
সিগন্যালের কোনো বাধা ছাড়াই ট্রেন চলতে পারবে। কুমিল্লা ও আখাউড়া অংশে ডাবল লাইন চালু হলে ট্রেন অপারেশনে আগের চেয়ে প্রায় ৩০ মিনিট সময় কমে যাবে। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনে বিপরীতমুখী ট্রেনকে সাইড দিতে গিয়ে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না স্টেশনে।
এ প্রকল্পের আওতায় কম্পিউটারাইজড সিগন্যাল ব্যবস্থাসহ ১৩টি রেলস্টেশন আধুনিকায়ন ও ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। বড় সেতুসহ মোট ৪৬টি ছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার যৌথভাবে এই প্রকল্পের কাজ করছে।
আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে এডিবি ঋণ দিয়েছে ৪ হাজার ১১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) দিয়েছে ১ হাজার ৩৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বাকি ১ হাজার ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হয়েছে।
আগামী ২০ জুলাই থেকে চালু হতে যাচ্ছে এই রেলপথ। ডুয়েলগেজ ডাবল রেল লাইনের কারণে ট্রেনে গতি বাড়বে ও কমে যাবে যাতায়াত সময়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেন যাত্রীদের জন্য এটা আনন্দের খবর এবং অনেক বড় প্রাপ্তির বিষয়।
ট্রেনে গতি বাড়বে সময় কমবে
ডুয়েলগেজ ডাবল রেল লাইন