নিজস্ব প্রতিবেদক »
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ প্রদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় নগরীর কেন্দ্রগুলোতে টিকা গ্রহীতারা ভিড় করছে। কিন্তু সেই ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষ না জেনে শেষ সময়ের পূর্বে টিকা নিতে ভিড় করেছে টিকা কেন্দ্রগুলোতে।
এ সময় টিকা নিতে আসা উপচে পড়া ভিড়ে পুলিশের সামনেই মানুষকে লাঠিপেটা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে টিকাকেন্দ্রে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় টিকা নিতে না পেরে বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে। বেশ কয়েকজন ধাওয়া খেয়ে আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে জেনারেল হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকে কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধরা লাইন ধরে টিকা নিতে অপেক্ষা করছে। দুপুর তিনটার দিকে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে দেখা গেছে এক যুবক মানুষজনকে লাঠিপেটা করছে। এসময় সবাই এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। জেনারেল হাসপাতালের গেটের সামনের রাস্তায় দুই পাশে দৌড়ে দৌড়ে মানুষকে পেটাচ্ছে। তার লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা নির্বাক ছিলেন। কিন্তু তাদের দায়িত্ব বা কর্তব্যহীনতার কারণে বেশ কিছু মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি টিকা নিতে আসা মানুষের।
টিকা নিতে আসা জানে আলম বলেন, ‘টিকা নিতে এসেছিলাম। কিন্তু খেয়ে যাচ্ছি লাঠিপেটা। টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড়ে ভোলান্টিয়াররা এসে উপর লাঠিচার্জ করেছে। তার ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন রাস্তায় পড়ে আহত হয়েছে।’
এসময় টিকা নিতে আসা রায়হান আবিদ বলেন, ‘লাঠিপেটা করা এই ছেলে সবসময় জেনারেল হাসপাতলের গেটে থাকেন। তার রয়েছে বেশ কয়েকজন সৈন্য। তারা লাইনে থাকা মানুষকে কিছু টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে প্রবেশের পাস নিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করে। যারা তাদের ফাঁদে পা দেয় তাদের কাছ থেকে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করে এ চক্র।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বি সুপ্রভাতাকে বলেন, ‘প্রতিদিন চার হাজার এসএমএস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সামর্থ্য আড়ই হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার। যার ফলে টিকা কেন্দ্রে ভিড় হচ্ছে। মানুষও কথা মানছে না। বুধবার থেকে পুলিশ টিকা প্রদান শুরুর আগে আসবে। যারা লাঠিপেটা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’