সুপ্রভাত ডেস্ক
রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও নিম্নাঞ্চল; অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে ঘটেছে প্রাণহানিও। নগরে শনিবার গভীর রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি; মুষলধারে এ বৃষ্টির তোড় রোববার দুপুরের দিকে কিছুটা কমে এলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। এমন বৃষ্টি আরও কয়েকদিন ঝরতে পারে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম বলেন, বেলা ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতেও চট্টগ্রাম ও আশেপাশের জেলা ভেসে যায় অতিবৃষ্টি আর ঢলের পানিতে। তলিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিনটি উপজেলা।
নতুন করে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর নগরীর চান্দগাঁও, বাকলিয়া, হালিশহর, চকবাজার, কাপাসগোলা, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা যায় রোববার সকালে।
হাটহাজারী সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির সাথে চট্টগ্রামের যান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া নন্দীর হাট, ইসলামীয়া হাটসহ কয়েকটি এলাকার সড়কেও পানি উঠেছে।
বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় সকালে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়া চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ২৯টি কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেছেন, কোনো শিক্ষার্থী যাতে বৃষ্টির কারণে পরীক্ষা দিতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে পরীক্ষা শুরু করা হয়। বোর্ডের অন্যান্য কেন্দ্রের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হলেও মহানগরের ২৭টি এবং হাটহাজীর দুই কেন্দ্রে পরীক্ষা বেলা ১১টায় শুরু করা হয়।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সব কেন্দ্রের পরীক্ষা নির্ধারিত সময় ১০টায় শুরু হয়েছে বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ।
এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুর রহিম জানান, তার ছেলের পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে দামপাড়া পুলিশ লাইন্স স্কুলে। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কেন্দ্রে যেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। ফরিদার পাড়া আমার বাসা থেকে বের হওয়ার পর সব সড়কেই পানি উঠেছে। আশেপাশের সড়কেও পানি উঠে যাওয়ায় কেন্দ্রে যাওয়া আসা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।এভাবে পানি ডিঙিয়ে পরীক্ষার দিতে যাওয়া যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্যই ‘মানসিক ধকল’ বলে মনে করেন আব্দুর রহিম।
রাউজান হাইওয়ে থানার এসআই মোজাম্মেল হক বলেন, হাটহাজারির নন্দীরহাটসহ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ি ঢলে সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির সাথে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, পানিতে ডুবে যাওয়া এসব রাস্তায় বড় গাড়িগুলো ধীর গতিতে চলাচল করতে পারলেও, ছোট যানবাহন চলাচল করছে কম। তবে হাটহাজারির পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক বলে জানান মোজাম্মেল হক।