নিজস্ব প্রতিবেদক »
প্রবল বর্ষণে ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কের (বায়েজিদ বাইপাসের) ব্রিজের দুই পাশের রাস্তার মাটি ধসে পড়েছে। তবে ধসে পড়া স্থানে মাটি চাপা দিয়ে প্রাথমিকভাবে মেরামতের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকরা মেরামতের কাজ করছেন। শ্রমিকদের একজন জয়দীপ সাহার কাছে জানতে চাইলে বলেন, টানা বৃষ্টিতে পানি নামতে গিয়ে ব্রিজের দুই পাশের রাস্তার মাটি সরে যাচ্ছিল। আমরা এই অংশের (দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত) মেরামতের কাজ করছি। দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের অংশের কাজ কাল (শুক্রবার) থেকে শুরু করবো।
তিনি জানান, টানা বৃষ্টিতে নালার পানি নামতে গিয়ে পানির স্রোতে মাটি সরে গেছে। তবে, এই এলাকায় রিটেনিং দেয়াল নির্মাণ কাজ এখনো বাকি রয়েছে। বর্ষা শেষে কাজ শুরু হবে।
এদিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পূর্ব-পশ্চিমমুখী ব্রিজটির দক্ষিণ প্রান্তে রাস্তার নিচের অংশের মাটি পানির স্রোতে ক্ষয় হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের গর্তটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে এবং এই বর্ষণ অব্যাতত থাকলে গর্তের পরিধি আরো বড় হবে। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে রাস্তার নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট গর্ত ভরাট করা হয়েছে নতুনকরে মাটি দিয়ে। একইসাথে পানি নেমে যাওয়ার জন্য জিও ব্যাগ (পানিতে ক্ষয় হয় না এমন কাপড়) দিয়ে পৃথক আরেকটি রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে যাতে মাটি ক্ষয় না হয়।
তবে এই সড়কে ৬টি ব্রিজের মধ্যে ৫ নম্বর ব্রিজে এই অবস্থা দেখা গেলেও অন্যান্য ব্রিজ ঠিক রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহি প্রকৌশলী রাজীব দাশ বলেন,‘ব্রিজের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখানে উভয় পাশে রিটেনিং দেয়াল হবে এবং ব্রিজের নিচের বেইজেও কাজ বাকি রয়েছে। রিটেনিং দেয়াল নির্মিত হলে আর মাটি সরে যাবে না।’
ব্রিজের নিচে এখনো আলগা মাটি রয়েছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রিজ নির্মাণের সময় মাটিগুলো একপাশ থেকে সরিয়ে আরেক পাশে রাখা হয়েছে। রিটেনিং দেয়াল নির্মাণের সময় প্রোটেকশন হিসেবে এসব মাটির প্রয়োজন হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ হচ্ছে। এই বর্ষণের কারণে পাহাড়ি এলাকায় ঢলের সৃষ্টি হচ্ছে। জঙ্গল ছলিমপুর থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের গুলো ছড়ার মাধ্যমে নেমে আসে। এমনই একটা ছড়ার উপর ৫ নম্বর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কটির নির্মাণ কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। এটি বাইপাস রোড হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং এতে নগরীর ভেতরে যানজট কমে আসবে।