নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীর খুলশী জমির হাউজিং সোসাইটি ভিআইপি কাঁচা রোড এলাকার চাঞ্চল্যকর ভবন মালিক মো. নেজাম পাশা খুনের দায়ে পলাতক দারোয়ান মোহাম্মদ হাছান ওরফে হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমণ্ডি লেইনের প্রবেশ মুখ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার সকালে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গ্রেফতার মো. হাছান ওরফে হাসান ফটিকছড়ির পূর্ব আজিমপুর আদর্শ পাড়া এলাকার সৈয়দ খন্দকার বাড়ি প্রকাশ হাফেজ এমরানের বাড়ির মৃত আমির হোসেনের ছেলে। খুলশী জালালাবাদ জমির হাউজিং সোসাইটি ভিআইপি কাঁচা রোড নেজাম পাশার নির্মাণাধীন ভবনে দারোয়ানের কাজ করতেন।
গ্রেফতার দারোয়ান হাসান এবং অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে নেজাম পাশাকে। এ বিষয়ে দারোয়ান হাছান স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান।
স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতার দারোয়ান মো. হাসান জানায়, শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছি। এরপর গেঞ্জির ছেঁড়া অংশ দিয়ে মুখ বেঁধে জি আই তার এবং পুরাতন ছেঁড়া গামছা দিয়ে পাকানো দঁড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে লাশ পাশের পরিত্যক্ত পলিথিন, বালি, ময়লার স্তূপের ভেতরে লুকিয়ে রাখি।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, দারোয়ান হাছান টাকা প্রলোভনে ভবন মালিককে খুন করেছে। সোমবার পরিবারের অভিযোগের পর অভিযানে নেমে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দারোয়ান হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখতে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’ ওসি আরো বলেন, নেজাম পাশা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম নির্মাণাধীন ভবনের বিপরীত পাশে দারোয়ানের টিনসেড ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে।’
এর আগে গত সোমবারে নিহত নেজাম পাশা নিখোঁজের ঘটনায় স্ত্রী সেলিনা ইয়াছমিন (৫৬) খুলশী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে দারোয়ান হাসানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।