নিজস্ব প্রতিবেদক »
পলিথিন পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে। এ পলিথিন বন্ধে মাঠে নামছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। আগামী জুলাই থেকে চট্টগ্রামে সম্পূর্ণভাবে পলিথিন নিষেধের ঘোষণা দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামকে পলিথিনমুক্ত করতে ১২টি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন- চট্টগ্রামের পরিবেশ সংরক্ষণ ও পলিথিনমুক্ত রাখতে আইন প্রয়োগ জরুরি। একই সাথে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সরকার পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়েনের লক্ষ্যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন করেন। উক্ত আইনসমূহ প্রণয়ন হওয়ার পরও এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়ে উঠেনি। চট্টগ্রামকে বাঁচাতে আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১.পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পাটজাত পণ্যের উৎপাদন, ব্যবহার বৃদ্ধি করা। ২. পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গোচরে আনা এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে কর্মশালার আয়োজন করে ছাত্র-ছাত্রীকে সচেতন করা। ৩. পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের নিমিত্তে এবং জনসাধারণ/ভোক্তা পর্যায়ে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সভা/সেমিনারের আয়োজনপূর্বক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। ৪. পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধের নিমিত্তে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা গোয়ান্দা সংস্থা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ৫. পলিথিন তৈরির কাঁচামাল আমদানি প্রক্রিয়া বন্ধ করা। ৬. পলিথিনের বিকল্প পণ্য হিসেবে পচনশীল পাটজাত, কাগজের অথবা কাপড়ের পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা। ৭. পলিথিনের বিকল্প পণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তাকে এগিয়ে আসা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সহজলভ্য করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। ৮.আইনের ব্যবহার (যার কাছে পলিথিন ব্যগ থাকবে তার উপর) যথাযথ প্রয়োগ করা। ৯. সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও যথাযথ (চেম্বার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, পাট উন্নয়ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট) কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়ে যৌথ উদ্যোগে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ। ১০. পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার, মজুদ ও বাজারজাতকারীর উপর সংশ্লিষ্ট আইন যথাযথ প্রয়োগের (মোবাইল কোর্টের) মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ। ১১. নিত্য পণ্যে সামগ্রীতে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। ১২. জুলাই থেকে চট্টগ্রামে সম্পূর্ণরূপে পলিথিন নিষিদ্ধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার, ক্যাবসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।