সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে সম্পত্তি লিখে নিতে মো. হাসান নামের এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় তার ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নিয়ে শনিবার হাসানের খণ্ডিত মাথা উদ্ধারে অভিযান নেমেছে পিবিআই। ঢাকার হাজারীবাগ থেকে শুক্রবার রাতে হাসানের ছেলে শফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের কথা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান।
তিনি বলেন, ঘটনার পর শফিকুর পরিচয় গোপন করে হাজারিবাগের একটি ট্যানারিতে চাকরি নিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর শনিবার সকালে তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কের পাশে ঝোপে একটি লাগেজের ভেতর থেকে হাত-পায়ের আটটি টুকরা উদ্ধারের পর পতেঙ্গা থানায় মামলা করে পুলিশ। আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে লাশের টুকরাগুলো হাসানের বলে জানানো হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলি গ্রামে। খবর বিডিনিউজের।
পরিচয় শনাক্তের পর ২২ সেপ্টেম্বর হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও তার বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বড় ছেলের দেওয়া তথ্যে পরদিন আকমল আলী রোডের খাল থেকে হাসানের গলার নিচ থেকে কোমড় পর্যন্ত অংশ উদ্ধার করে পিবিআই।
ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন হাসানের ছোট ছেলে শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আনারকলি। ৩১ সেপ্টেম্বর আনারকলিকে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে ১ ও ২ অক্টোবর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে হাসানের খ-িত মাথার সন্ধানে তল্লাশি চালায় পিবিআই।
পিবিআই কর্মকর্তা ইলিয়াস খান জানান, আনারকলি হাসানের শরীরের খ-িত অংশগুলো ফেলে দিয়েছিলেন। মাথাটি ফেলা হয়েছে পতেঙ্গা সৈকতের কাছে পাথরের ব্লকের ভেতর।
২৮ বছর স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না হাসানোর। মাস ছয়েক আগে তিনি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর স্ত্রী-সন্তানরা তাকে সম্পত্তি লিখে দিতে বললেও তাতে রাজি ছিলেন না হাসান। এ নিয়ে বিত-ার জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আকমল আলী রোডের জমির ভিলায় ছোট ছেলের বাসায় ডেকে হাসানকে খুন করে লাশ কয়েক টুকরা করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।