‘অধিকার ও পছন্দই মূল কথা : প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার প্রাধান্য পেলে কাক্সিক্ষত জন্মহারে সমাধান মেলে’। এবারের এই প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে তারুণ্যের প্রতীকের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ্ খান সাকিবের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম তাওসীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউট’র পরিচালক ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন উপ-অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নঈম হাছান চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মরিয়ম ইসলাম লিজা, চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স পরিচালক সাহেলা আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মো. ফজলে এলাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল হাসনাত দিপন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. হাসান উদ্দীন, সদস্য নওশিন শারমিলি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদস্য কবির আহমেদ আজাদ, মাসুকা নাসরিন তানি, নাজনিন আক্তার, অভিজিৎ বড়ুয়া, কামরুল হোসাইন, মাসফিকা মাহবুব, তানমুন তাকসির, নজমুল হক, নীলয় ভট্টচার্য্য, শহিদুল ইসলাম, রাফা চৌধুরী, আবু সাঈদ আলভী, তাওসীন ইসলাম, নাজমুল হাসান রিয়াদ, সাকিব আশরাফ, মফিজুল খায়ের সাকিব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় অপুষ্টি, পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাব, বেকারত্ব, চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, প্রতি মিনিটে বিশ্বে প্রায় ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। আর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে প্রায় ১০টি শিশু। সংস্থার আর এক জরিপে দেখা গেছে যে, বর্তমানে জন্ম নেয়া ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৯৭ জন জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় বিশ্বের তথা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। যে দেশগুলো এমনিতেই অধিক জনসংখ্যার দেশ। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের এই বছরের থিম মূলত বিশ্বজুড়ে মেয়েদের অধিকার রক্ষার এবং সুরক্ষা কেন্দ্রিক। প্রজনন স্বাস্থ্য বলতে বোঝায়, যে লোকেরা একটি সন্তোষজনক এবং নিরাপদ যৌনজীবন অর্জন করতে সক্ষম এবং তাদের প্রজনন কখন এবং কীভাবে করা উচিত তা সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্মনিয়ন্ত্রণের সম্পর্কে অবহিত করা উচিত এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের নিরাপদ, কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে তাদের প্রবেশাধিকার থাকা উচিত। বিশেষ করে বাংলাদেশে বয়ঃসন্ধিকালে অনেক মেয়ে গর্ভধারণ, সহিংসতা ও অপুষ্টির ঝুঁকিতে থাকে। বিজ্ঞপ্তি
চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতার মূলে অতিরিক্ত জনসংখ্যা
সভায় অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ