নিজস্ব প্রতিবেদক <
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ওয়ার্ড গুলোতে অধিকাংশ শয্যা খালি। রেলিং’এ নেই অসুস্থ স্বজনকে একপলক দেখার দর্শনার্থীর ভিড়। ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গার্ডদেরও পোহাতে হচ্ছে না বাড়তি ঝামেলা।
ওয়ার্ডগুলোতে নেই রোগীর চাপ। কেউ এদিক-ওদিক ছুটছে না একটি সিট পাওয়ার জন্য। কেউবা ফোনে অনুরোধ করছে না একটি সিট ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য। ন্যায্যমূল্যের দোকানে নেই লম্বা লাইন।
গতকাল সরজমিনে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে (ক্যাজুয়েলিটি) প্রায় রোগী শূন্য। একই চিত্র প্রায় সব বিভাগে। মেডিসিন বিভাগ-৩, গাইনি, আর্থোসার্জারি (এক্সিডেন্ট), নিউনেটাল পেয়িং (নবজাতক) এ রোগীর কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও মেডিসিন-২ নাক-কান-গলা, ডেন্টাল ও শিশু (বহিঃবিভাগ), কার্ডিওলজি বিভাগ, নেফ্রোলজী বিভাগসহ অনেক বিভাগে রোগীর সংখ্যা কম।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬ সিটে শুয়ে আছেন চকরিয়া থেকে আসা রফিকউদ্দীন। ভর্তি কখন হলেন? প্রশ্নের জবাবে সুপ্রভাতকে বলেন, ‘আসছি তিনদিন আগে। ভর্তি হওয়ার পর থেকে রোগী বেশি নেই। অনেকগুলো সিট খালি’।
হৃদরোগ বিভাগে প্রবেশ করতেই দেখা হয় সুজান নামক এক যুবকের সাথে। দাদা নিয়ে আসছেন মেডিকেলে। তার সাথে কথা বলে জানা গেল, ভর্তি হওয়ার পর সিট পেতে কষ্ট করতে হয়নি।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কথা হয় জয়নুল আবেদিনের সাথে। তিনি জানান, খুব জরুরি না হলে এ পরিস্থতিতে মেডিকেল আসতাম না। লকডাউনের কারণে লোকাল গাড়ি নেই। চকরিয়া থেকে আসতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে।
রোগীর সিট অনেক খালি, রোগীর চাপ কম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেডিসিন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, ‘লকডাউন ও করোনার ভয়ের কারণে অনেকে আসতে অনিচ্ছুক।’
উল্লেখ্য, দিন দিন ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিচ্ছে কোভিড। এতে সাধারণ রোগীদের অনেকে হাসপাতালমুখী হচ্ছে না। কোভিড রোগীদের সংস্পর্শে এসে আবার আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও আছে। তাই সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে কমছে রোগীর চাপ।
এ মুহূর্তের সংবাদ