নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »
চন্দনাইশে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কলেজ ছাত্র জাহিদুল আলম আওয়াল খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে থানায় মামলাটি করেন। মামলায় সাত জনকে এজাহারনামীয় আসামি এবং আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহত জাহিদুল এলাকায় মাদক ও খারাপ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো। এ কারণে এলাকার কিছু খারাপ লোক তার শত্রুতে পরিণত হয়। বুধবার সন্ধ্যায় কুলিম্যা পাড়াস্থ এলাকায় চাচাতো ভাইয়ের বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে গতিরোধ করে সিএনজি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে নেয় ‘কিশোরগ্যাংয়ের’ কয়েকজন সদস্য। একপর্যায়ে ‘কিশোরগ্যাংয়ের’ কয়েকজন সদস্য জাহিদুলের দু’হাত ধরে রাখে এবং তাদের লিডার তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরিকাঘাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পরও তাকে সবাই মিলে ধরে রাখে। ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে জাহিদুলকে ছেড়ে দিয়ে চাচাতো ভাইকেও কিলঘুষি লাথি মেরে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যায়। তখন প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত ১১টার দিকে জাহিদুলের মৃত্যু হয়।
চন্দনাইশ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহত কলেজছাত্র জাহিদুলের বাবা দাফন শেষ করে এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি গ্রহণ করে হত্যা মামলা রেকর্ড করেছি। ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতার করতে কাজ করছি। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।