সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করাই আমার মূল কাজ।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বন্দরনগরী মৌসুমী বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের কারণে জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে। ৬৩টি খালের কাজ একসাথে শেষ না করলে নগরবাসী জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে পুরোপুরিভাবে মুক্তি পাবে না। বর্তমান পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং নগরের অসুস্থ ড্রেনেজ অবকাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চসিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি মেগাপ্রকল্পের ৩৫টি খালের পাশাপাশি বাকি ২৮টি খালের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করে ডিপিপি তৈরি করার জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
আজ বুধবার সকালে টাইগারপাস এলাকায় অস্থায়ী নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে সেন্টার ফর এনভাইরনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র (সিইজিআইএস) কর্মকর্তাদের সাথে ইন্টেলেকচুয়াল সার্ভিস বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর, সিইজিআইএস’র উপদেষ্টা সামিউল ওয়াহহাব চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসানুল্লাহ মিয়া, মোতালেব হোসেন সরকার, মেজর জিয়া, এনটেক কনসালটেন্ট মনোয়ারুল হক প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, ইতোমধ্যে ড্রেনের মাটি উত্তোলন ও পরিস্কার করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি ওয়াসার পাইপ লাইন ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশান লি: গ্যাসলাইন পাইপগুলো ড্রেন বা কালভার্টের নিচ থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, সিএস খতিয়ানে খালগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও সেখানে বহুতল ভবনসহ নানা ধরণের স্থাপনা রয়েছে। দখলকৃত খালগুলো চিহ্নিত করে অবশ্যই পুনরুদ্ধার করা হবে।
তিনি ময়লা, আবর্জনা ও পলিথিন ড্রেনে না ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ড্রেনেজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার যুগপৎ উন্নয়ন যা ভবিষ্যতের ক্ষতি থেকে নগরীর নিষ্কাশন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নগরীর বাসিন্দাদের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য নিষ্কাশন অবকাঠামোর দ্রুত এবং কার্যকর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সিইজিআইএস’র উপদেষ্টা বলেন, সিইজিআইএস মেগাপ্রকল্পের ৩৫ টি খালের ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কাজ করছে।
তিনি ডিজিটাল কর নির্ধারণ ও প্রদান ব্যবস্থা, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিতকরণ, ছাদ বাগানের জন্য ভবন চিহ্নিতকরণ, ড্রেনেজ ডেভেলপমেন্ট ও মনিটরিং এবং ডাটাবেজ তৈরির কাজ এবং যোগাযোগ বিষয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা মেয়রকে অবহিত করেন। মেয়র তাদের আগ্রহের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।