চট্টগ্রামে তৃতীয় দফায় এসেছে চীনের তৈরী করোনাভাইরাস প্রতিষেধক সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। প্রতি ভায়াল ভ্যাকসিন মাত্র ১ জনকে প্রয়োগ করা যাবে। সিনোফার্মের এ টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। ১ম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আজ ১৮ জুন শুক্রবার সকাল ৭ টায় ১৫২টি কার্টন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এরপর ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডব্লিউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চট্টগ্রামের জন্য তৃতীয় দফায় চীনের তৈরি সিনো ফার্মের ৯১ হাজার ২’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা পেলে আগামীকাল শনিবার বা এর পরের দিন রোববার থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এবার রাজধানী ঢাকা বাদে প্রত্যেক জেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য কেবল একটি মাত্র কেন্দ্র থাকবে। যে জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে সেখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যে জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেই সেখানে সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ টিকা দেয়া হবে। চট্টগ্রামের জন্য শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে এ টিকা দেয়া হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চমেক’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. গাহেনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সিনোফার্মের এ টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে। ১ম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বা জেলার জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ নেই। করোনার সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, চীনা নাগরিক, বিদেশগামী, বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিচ্ছন্ন কর্মী, মুর্দা গোসলকারী, লাশ দাফনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি যারা রেজিস্ট্রেশন করে এখনো টিকা নিতে পারেননি তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ