সুপ্রভাত ডেস্ক »
নগরীর বাকলিয়ার রাজখালীতে জনতা কোল্ড স্টোরেজ নামের ভবনটিতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লেগেছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর ভবনটির বেশিরভাগ অংশ ধসে পড়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে চার তলার ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। ভবন মালিকের নাম জয়নাল আবেদিন হেলাল।
ভবনটির ওই দুটি ফ্লোর শুঁটকির কোল্ড স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করা হত। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি স্টেশনের সাতটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুরোপুরি নেভাতে ভোর পৌনে ৬টা বেজে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের লামার বাজার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শুঁটকির গোডাউনে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। সেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
‘চারতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর চারপাশে অ্যামোনিয়া গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে যায়। এতে উপস্থিত লোকজনের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।’
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার পর ভবনটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে নিচে পড়তে শুরু করে। ভেঙে পড়া অংশের আঘাতে দুই জনের মাথা ফেটেছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘চারতলা ভবনটির বেশিরভাগ অংশই ভেঙে পড়েছে। ভবনটি তাই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। মালিকপক্ষের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা। তবে প্রকৃত ক্ষতি কত তা তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
চট্টগাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাকলিয়ার ওই আগুনের ঘটনায় আহত ও অসুস্থ চারজন চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর উল্লাহ আশেক।
ওই চারজন হলেন- মো. তারেক, নুর হোসেন, মো. মান্নান ও রবিন।
বাকলিয়া থানার ওসি আবদুর রহিমও ওই ভবন থেকে গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কথা বলেছিলেন। কোল্ড স্টোরেজে থাকা অ্যামোনিয়া গ্যাসের পাইপ ফেটে গ্যাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।
রাজাখালী এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এটি নগরীর অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে বসতবাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের গুদাম, আড়ত ও পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্র আছে।
জনতা কোল্ড স্টোরেজ ভবনটি রাজাখালী খালের পাশেই। বিস্ফোরণের পর ভবনটির খাল সংলগ্ন অংশের বেশিরভাগ ধসে পড়েছে।