সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের দুই শহরে (বন্দরটিলা ও দক্ষিণ হালিশহর) কলেরা টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) তত্ত্বাবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইসিডিডিআর,বি এর বাস্তবায়নে কাজ করবে। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি।
এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি দুই ডোজের ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের দেওয়া হবে। গর্ভবতী নারী এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছেন, তারা ব্যতীত সবাই এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
জানা গেছে, কলেরা একটি ডায়রিয়াজাতীয় খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ, যার প্রাদুর্ভাব গঙ্গা বদ্বীপ থেকে শুরু করে ইউরোপ ও আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এটি দেহে দ্রুত পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ১৩ থেকে ৪০ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশসহ আটটি উন্নয়নশীল দেশে বছরে প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকায় কলেরার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। খবর ঢাকাপোস্ট।
এ অতি প্রাচীন ও জীবন সংশয়কারী রোগকে প্রতিরোধ করতে বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর এলাকার এক লাখ ৩৫ হাজার এলাকাবাসীকে ৪৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রথম ডোজ কলেরা টিকাদান কার্যক্রম আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকাদান কর্মসূচির আওতাভুক্ত এলাকায় মাইকিং করে টিকা কেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৪ দিন অন্তর প্রদেয় এ টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও নিরাপদ। এ টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না। দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভির আর্থিক সহায়তায় এ টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আইসিডিডিআর,বি ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য কলেরা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ২০১৯-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই ২০২০ এবং ২০২২ সালে কলেরা টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক ঢাকাবাসীকে কলেরা টিকা দেওয়া হয়।