সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়ে ১৭ জন বেড়ে নতুন বাহক শনাক্ত হন ৭৮ জন। সংক্রমণ হারও বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছে। তবে এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত বিমানবন্দর, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবরেটরিতে গতকাল ২ হাজার ২৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭৮ জনের মধ্যে শহরের ৬৬ ও চার উপজেলার ১২ জন। উপজেলার ১২ জনের মধ্যে মিরসরাইয়ে ৫ জন, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে ৩ জন করে এবং বোয়ালখালীতে একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ২২৪ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৮১২ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৪১২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করা হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৫৯ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩৩ ও গ্রামের ৬ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১২ জনের নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৮ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের ৩ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৭ জনের নমুনারও রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ জন ও গ্রামের ২ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২১৯ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০০ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৯১ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৫২ জনের নমুনায় শহরের ২ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৫ টি নমুনার মধ্যে একটিতেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ছিল না। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৩৯ জনের নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৬ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজনও সংক্রমিত চিহ্নিত হননি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৮৬, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ০৯, শেভরনে ২ দশমিক ৯১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৯১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ দশমিক ৫০, এপিক হেলথ কেয়ার ৩ দশমিক ২৯, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩ দশমিক ৮৪, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৭ দশমিক ৬৯ এবং চমেকহা, আরটিআরএল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।