সুপ্রভাত ডেস্ক :
শুনতে মজা লাগলেও সমস্যা কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব জুড়েই চিকিৎসকেরা বলে থাকেন প্রাপ্তবয়সে একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজনীয়। সেই হিসেবে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে গড়ে জাপানি নাগরিকরা ৩৬ মিনিট কম ঘুমোয়।
আহা, এ যেন রূপকথার দেশ। সেই যে ছোটবেলায় আমি আপনি ভেবেছিলাম বড় হলে আইসক্রিম কিমবা চকোলেট দিয়ে বাড়ি বানাব, সেই দিন যেন ফিরে এসেছে। বৃষ্টি ভেজা সকালে গায়ে হালকা একটা চাদর চাপিয়ে আয়েস করে একটু ঘুমোবেন, অমনি মাথার কাছে অ্যালার্ম ঘড়ি জানিয়ে দিল এসব বৃষ্টি চলবে না। সাত সকালে নাকে মুখে গুঁজে বেরিয়ে পড়তে হবে কাজে। দিনভর আপনাকে তাড়া করে বেড়াবে নাছোড়বান্দা ডেডলাইন। কিন্তু না, এ যে দেখি ভূতের মুখে রাম নাম। অফিসে গিয়ে ঘুমোতে হবে। তাহলেই মিলবে ইনসেন্টিভ। তবে এ দেশে নয়, এমন আজব অফিস রয়েছে জাপানে।
শুনতে মজা লাগলেও সমস্যা কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব জুড়েই চিকিৎসকেরা বলে থাকেন প্রাপ্তবয়সে একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজনীয়। সেই হিসেবে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে গড়ে জাপানি নাগরিকরা ৩৬ মিনিট কম ঘুমোয়। সূর্যোদয়ের দেশে ঘুমের ঘাটতির সমস্যা এতটাই গুরুতর, কাজের চাপে, অথবা যথার্থ ঘুমের অভাবে মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে এই দেশ।
শুধু মৃত্যু কিমবা শারীরিক অসুস্থতাই নয়, সমীক্ষায় দেখা গেছে, কর্মীদের ঘুমের ঘাটতির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ভুক্তভোগী হচ্ছে। সরকারি হিসেব বলছে, কর্মীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেশের বিভিন্ন সংস্থার বার্ষিক ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে।
এই সমস্ত সংকটের কথা মাথায় রেখেই অভিনব পন্থা চালু করেছে একটি ওয়েডিং প্ল্যানার (বিয়ে আয়োজক সংস্থা)। ছ’ঘন্টার বেশি ঘুমোলেই কর্মীকে পুরস্কৃত করছে সেই সংস্থা। কাজুহিকো মোরিয়ামা, সংস্থার সিইও এই প্রসঙ্গে ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন ‘কর্মীদের যতœ নিতেই হবে। নইলে সারা দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে’।
খবর : ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস’র।
ফিচার দেউড়ি