নিজস্ব প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি »
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু গ্রাম টানা অতি বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে আবারও প্লাবিত হয়েছে।
এই যেন এক হ্নদয় বিদারক দৃশ্য, পানিবন্দি অসহায় মানুষরা জীবন বাচাঁতে দিগি¦দিক ছুটছে এক মাত্র আশ্রয়কেন্দ্র ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে।
১ আগস্ট পানিবন্দী তুমব্রু পশ্চিমকূল, হিন্দুপাড়া, বাজার পাড়া, কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়া ও পানিতে ভাসমান তুমব্রু বাজারে ৫০/৬০টি দোকানসহ মৎস্যচাষীদের পুকুর।
বাজার ব্যবসায়ীদের ২য় বার পানিবন্দী হওয়ায় প্রতিটি দোকানের মালিকরা বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন। তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন বলেন, ১ম ও ২য় বার টানা বর্ষণের কারণে পানিতে ভাসমান অবস্থায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকার বিভিন্ন মালামালের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
তিনি আরো জানান, ধার,দেনা কর্য করে দোকানে মুলধন দিয়ে মালামাল মজুদ করে ছিলাম, এবস্থায় হঠাৎ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেল আমার সাজানো ব্যবসার ফসল।
মৎস্য চাষী তুমব্রু বাজার পাড়ার হামিদুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে বাজারের নিজ মালিকানাধীন অন্তত ৪০ শতক পুকুরে মাছের চাষ করি।
এতে রুই, কাতাল, মাগুর, তেলাপিয়া, কই, টেংরাসহ নানা প্রজাতির দেড় লাখ টাকার পোনা ছাড়ি।মৎস্য পুকুর পরিচর্যার শ্রমিক, মাছের খাবার সহ আনুষঙ্গিক খরচ মিলে অন্তত ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি।
গত ২৭ জুলাই ও ৩১ জুলাই শুরু হওয়া টানা প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের পানি নেমে মৎস্য পুকুরে প্লাবিত হয়ে সম্পূর্ণ মাছ ভেসে গেছে।
আপ্রাণ চেষ্টা করেও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।এমন সময়ে ব্যবসায়ীক সুফল ভোগ করার আগেই স্বপ্ন ভেসে গেল।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গত রাত থেকে আবারও টানা অতিবর্ষণের ফলে পাহাড়ী ঢল এসে তুমব্রু এলাকা প্লাবিত হয়ে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের মংজয় পাড়াতে পাহাড় ধসে ঘরসহ একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসার জন্য ওয়ার্ড মেম্বারকে যাতাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে উল্লেখ্য, গেল মাসের ২৭ তারিখ টানা বর্ষেণের পাহাড়ী ঢলে ঘুমধুম ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত ও পাহাড় ধসে বাড়িঘর ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পুরো ইউনিয়নবাসী।