সুুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
দলে ফেরার পর থেকেই ব্যাটে রান নেই। ফিফটির স্বাদ তো প্রায় ভুলে যাওয়ার অবস্থা। একটু অচেনাই লাগছিল ক্রিস গেইলকে। অবশেষে ‘ইউনিভার্স বস’ ফিরলেন চেনা চেহারায়। তার ঝড়ো ফিফটিতে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করে ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ ম্যাচের সিরিজ ক্যারিবিয়ানরা জিতে গেল প্রথম তিন ম্যাচেই। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে সেন্ট লুসিয়ায় এই ম্যাচে ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করতে পারে ১৪১ রান। গেইলের সৌজন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যায় ৩১ বল বাকি রেখেই। ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৮ বলে ৬৭ রান করে ম্যাচের সেরা গেইল। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি ছুঁতে পারলেন তিনি। মাঝের সময়টায় ম্যাচ খেলেছেন ১৯টি। বাইরে ছিলেন অনেক দিন। এই বছরের শুরুতে দলে ফেরার পর ৯ ইনিংস মিলিয়ে রান ছিল ১০২। সেই খরা অবশেষে কাটালেন তিনি। এই ইনিংসের পথে টি-টোয়েন্টিতে (আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া) প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৪ হাজার রানও পূর্ণ হলো তার। সেন্ট লুসিয়ার ব্যাটিং উইকেটে ১৪২ রানের লক্ষ্য এমনিতেই কঠিন কিছু ছিল না। তা আরও সহজ হয়ে যায় গেইলের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তিনি আভাস দেন ঝড়ের। রান তাড়ায় প্রথম ওভারে ওপেনার ফ্লেচার আউট হওয়ার পর উইকেটে যান গেইল। পরের ওভারে জশ হেইজেলউডের বলে ছক্কায় শুরু হয় তার রান-যাত্রা। পরের তিন বলেই তিনটি বাউন্ডারি। শুরুটা ভালো করে এরপর একটু সময় নেন গেইল। ১৫ রান করে লেন্ডল সিমন্স আউট হলেও নিকোলাস পুরান সঙ্গ দেন গেইলকে। অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে ছক্কায় পা রাখেন তিনি ১৪ হাজারে। ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল লক্ষ্যে ঠিক মাঝামাঝি, ৭১ রান। গেইল তখন ২৮ বলে ৩২। পরের দুই ওভারে তিনি চালান তান্ডব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১৪১/৬ (ওয়েড ২৩, ফিঞ্চ ৩০, মার্শ ৯, কেয়ারি ১৩, হেনরিকেস ৩৩, টার্নার ২৪, ক্রিস্টিয়ান ১*; কটরেল ৪-০-৩২-০, রাসেল ৩-০-২৯-০, ম্যাককয় ১-০-৯-১, ব্রাভো ৩-০-১৭-১, অ্যালেন ৪-০-২৬-১, ওয়ালশ ৪-০-১৮-২, গেইল ১-০-৯-০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪.৫ ওভারে ১৪২/৪ (সিমন্স ১৫, ফ্লেচার ৪, গেইল ৬৭, হেটমায়ার ৩২*, ব্রাভো ৭, রাসেল ৭*; স্টার্ক ৪-০-১৫-১, হেইজেলউড ৩-০-৩৩-০, মেরেডিথ ৩.৫-০-৪৮-৩, জ্যাম্পা ৩-০-৩৪-০, মিচেল মার্শ ১-০-৮-০)। খবর বিডিনিউজের