নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি »
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে পিকআপভ্যান ও পর্যটনবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু রয়েছে। নিহত ও আহতরা সবায় একই পরিবারের বলে জানা গেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাটিরাঙা উপজেলার আলুটিলার সাপমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, খাগড়াছড়ি পৌর শহরের সহীদ কাদের সড়কস্থ বুলবুলি পট্টি (বসুন্ধরা) এলাকার বাসিন্দা (তৃপ্তি হোটেলের সত্ত্বাধিকারী)মৃত ননী গোপাল গুহের স্ত্রী প্রীতি বালা গুহ (৪৫) ও মৃত গৌরাঙ্গ ঘোষের স্ত্রী অনিমা ঘোষ (৬৫)
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাগড়াছড়ি সদর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপভ্যান জেলার গুইমারা যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পর্যটনবাহী বাসের সঙ্গে সাপমারা এলাকায় মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে পিকআপভ্যানে থাকা দুই নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরো অন্তত ১৫ জন। স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহতরা হলেন, সুপ্তা দে (২৪), তাপস (৯), মনি দে (২৫), তুষার ঘোষ (৭), শান্ত (১১), জুয়েল (১৩), প্রভাত চন্দ্র দাশ (৪০), সাজু ঘোষ (২৭), রেনু ঘোষ (৪৫), বাধন ঘোষ (১২), বিনা রানী দাশ (৪২), তন্ময় ঘোষ (১২) ও পায়েল ঘোষ (১২)।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শহিদুজ্জামান জানান, হাসপাতালে আনার আগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হলেও ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানিয়েছেন, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অনিমা ঘোষের ছোট মেয়ে মুন্নির শ^শুরবাড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার ডাক্তার টিলা এলায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিনে যাচ্ছিলেন একই পরিবারের সকলে। কিন্তু আলুটিলার সাপমারা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান, মুন্নির মা অনিমা ঘোষ (৬৫) আর তার ননদ (মুন্নির পিশি মা) প্রীতি বালা গুহ (৪৫)। নিহত অনিমা ঘোষের ৪ ছেলে এবং ৪ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মুন্নি শ^শুরবাড়িতে আর কারোরই যাওয়া হলো না।