চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা সংগঠনের চকবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ সোলায়মান আলম শেঠের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আবু জাফর মাহমুদ কামাল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও নগর জাপার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. এয়াকুব হোসেন, সহ-সভাপতি সালামত আলী, মো. আলী, যুগ্ম সম্পাদক আলী ইমরান, শেখ আখতার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহুর উদ্দীন জহির, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কাদের, ইরশাদুল হক ছিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক ছবির আহমদ, তপন চক্রবর্তী জুনু, গোলাম কিবরিয়া, নুরুল হুদা জুজু, নাসিরুদ্দিন পাঞ্জাব, সমীর সরকার, নুর আহমদ মিঠু, মো. ফারুক হোসেন আপন, নজরুল ইসলাম, সুমন বড়ুয়া, এইচ এম সম্রাট, ফোরকান, মোহাম্মদ সালেহ আহম্মদ ভূঁইয়া, আবুল কালাম, মোহাম্মদ বেলাল, মোহাম্মদ শামীম, পারুল আক্তার, ফরিদা ইয়াসমিন, মো. আশিকুর রহমান, কোহিনুর আক্তার, আখি আক্তার, মো. ইউসুফ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ অসাংবিধানিক কোনো কাজ করেননি। ১৯৮২ সালে সেনাপ্রধান হিসেবে ক্ষমতার দায়িত্ব নিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদ নয় বছর সুশাসক হিসেবে দেশ, জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মাথা উচুকরে দাঁড় করিয়েছেন। সর্বক্ষেত্রে পল্লীবন্ধু ছিলেন সফল। তৎকালীন মুখোশধারী দলের লোক দেখানো দাবির কারণে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বিনা রক্তপাতহীন আন্দোলনে জনগণের প্রতি সম্মান জানিয়ে এরশাদ স্বেচ্ছায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন সামরিক বাহিনীকে।
ওই সময় সামরিক বাহিনীর প্রধান ছিলেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। সেই হিসেবে সাত্তার সাহেব পল্লীবন্ধু এরশাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। মনে রাখতে হবে, ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতা হস্তান্তর এক নয়। সংবিধান ও গণতন্ত্রের স্বার্থে পল্লীবন্ধুকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছিল। পল্লীবন্ধুই বিচারপতি শাহাবুদ্দিনকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করেছিলেন, তাকে শপথও করিয়েছিলেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। তারপর তার কাছে সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময় গণতন্ত্রের কারণে জীবনের মূল্য নাই, সেভেন মার্ডার, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, দলীয়করণে জনগণ আজ দিশেহারা। ওইদিকে বিএনপির আমলে সারের দাবিতে ১৯ জন কৃষক হত্যা, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, হাওয়া ভবন দুর্নীতিতে বারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
জনগণকে ধোকা দিয়ে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ আর কত গণতন্ত্র প্রতিষ্টা করবে। বিজ্ঞপ্তি