নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
উখিয়া সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা ও আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খ-ের তুমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ-পাশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের রোববার থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। বর্তমানে ওখানে আশ্রয়রত রোহিঙ্গার দুই-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত। শুধু মাত্র এক-তৃতীয়াংশের নিবন্ধন পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ পরিসংখ্যায় (বুধবার পর্যন্ত) সংঘাতের পর তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশে-পাশে তাঁবু টাঙিয়ে মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গার অবস্থান নেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে বর্তমানে ৫৫৮ টি পরিবার পাওয়া গেছে। যদিও মঙ্গলবার ওখানে ৫৩৭ পরিবারের ২ হাজার ৮৮৯ জন রোহিঙ্গা অবস্থানের তথ্য নিশ্চিত জানিয়ে ছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গণনা পরিচালনাকালে ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ২ হাজারের মতো রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত রয়েছেন। ৮ শতাধিক রোহিঙ্গার কোন নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের গণনা চূড়ান্ত
করা হয়েছে। বুধবার এসে ওখানে ৫৫৮টি পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওখানে আশ্রয়রত মোট রোহিঙ্গার দুই-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত। শুধু মাত্র এক-তৃতীয়াংশের নিবন্ধন পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, এদের রোববার সকাল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শুরুতেই বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিতদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। নিবন্ধিত ক্যাম্পে পরিবারভিত্তিক ঘর বরাদ্দ থাকার কথা। ওই ঘরে তাদের পাঠানো হবে। আর অনিবন্ধিতদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরও জানান, সংশ্লিষ্টদের তথ্য বলছে ওখানে নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত বেশ কিছু রোহিঙ্গা অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় মামলা রয়েছে। এদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছেন। মূলত কক্সবাজার, বান্দরবান জেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি এ কাজ করছেন।