‘কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বহু উন্নত দেশের চাইতে বাংলাদেশ অগ্রগামী। বিশ্ব দরবারে প্রধানমন্ত্রীর এই ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। যথাসময়ে কোভিড ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন করোনা প্রতিরোধ টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে যে সফলতা অর্জন করেছে তা ধরে রাখতে হবে।’
বুধবার সকালে নগরীর মিউনিসিপ্যাল প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে ৫ হতে ১১ বছরের সকল শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা বলেন।
চসিক স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নাছিম ভূঁইয়া, ডা. ইমাম হোসেন রানা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিটন বড়–য়া, অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেয়র আরও বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীরা কম বয়সী তাই মহানগরীর প্রতিটি স্কুলে গিয়ে টিকা প্রয়োগ করা হবে। সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ১৬৪টি টিম একই সময়ে টিকা প্রয়োগে অংশ নেবে। কিন্ডার গার্ডেন ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ সিটি করপোরেশন এলাকায় কমপক্ষে ৪ (চার) লাখের বেশি শিক্ষার্থী টিকা পাবে।
তিনি টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৫ হতে ১১ বছরের সকল শিশুদের ফাইজারের বিশেষ ধরনের টিকা গ্রহণের সুযোগ থেকে যেন কোন শিক্ষার্থী বাদ না পড়ে সে ব্যাপারে প্রত্যেককে নজর রাখতে হবে।
এসময় মেয়র আরো বলেন, শিশুদের টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতার কারণে কোন শিশু যাতে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে কাউন্সিলরগণ সহযোগিতা করবেন।
তিনি বলেন, প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী’র সময়ে স্বাস্থ্যসেবায় নগরীবাসীর যে প্রশংসা অর্জিত হয়েছিল মাঝখানে তা নি¤œমুখী হয়ে পড়ে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যসেবা আগের পর্যায়ে ফিরে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি