চট্টগ্রামে ১৬৭৩ নমুনায় ২৬৯ শনাক্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামে করোনায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ কমেছে। সরকারি-বেসরকারি ৩৯৭৮ শয্যার মধ্যে ২৭২৪টি শয্যা খালি আছে। রোগী ভর্তি আছে ১২৫৪ জন। জুলাই মাস ও আগস্টের প্রথম এক সপ্তাহে সংক্রমণ হার ৩০ থেকে ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছিল। মধ্য আগস্ট থেকে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন লকডাউন, টিকাদানের কারণে সংক্রমণ কমছে। টিকা নিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এদিকে লকডাউন না থাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় বেড়েছে। একই সঙ্গে বিনোদনকেন্দ্র ও পার্কে ভিড় করছে মানুষ। গণপরিবহনে আগের ভাড়ায় মানুষ গাদাগাদি করে চলাচল করছে। সব কিছু খুলে যাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বলে কিছু নেই। অনেক মানুষকে রাস্তায় মাস্ক ছাড়া চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারি নেই বললেই চলে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণ কমলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মানুষের বেপরোয়া চলাফেরার কারণে সংক্রমণ বাড়তে সময় লাগবে না। টিকা নিলেও মানুষকে সচেতন হতে হবে।
চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি
চট্টগ্রামে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ছয়জন। এরমধ্যে নগরে দুজন এবং উপজেলায় চারজন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২০৯ জন। এছাড়া করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৯ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৮ হাজার ৫৩৭ জন।
শুক্রবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের ১১ টি ল্যাবে ১ হাজার ৬৭৩ নমুনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৯ জন। নমুনা হিসেবে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে নগরীতে ১২১ জন এবং উপজেলায় ১৪৮ জন। এ নিয়ে নগরীতে ৭১ হাজার ৭৫৫ জন এবং উপজেলায় ২৬ হাজার ৭৮২ জনসহ ম এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৮ হাজার ৫৩৭ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে দুইজন এবং উপজেলায় চারজন সহ চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছেন ছয়জন। এ নিয়ে নগরীরে ৬৮২ জন এবং উপজেলায় ৫২৭ জনসহ চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক তথ্যমতে, ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৬৪ নমুনার মধ্যে ৮০ জন করোনা পজেটিভ হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৮ নমুনায় ৪৮ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ১৪৯ নমুনায় ২৪ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৪৮ নমুনায় ৪৭ জন, এন্টিজেন টেস্টে ১৩৯ নমুনায় ১৫ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ৯৪ নমুনায় ৬ জন, শেভরণে ১৮৭ নমুনায় ১২ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৫ নমুনায় ১০ জন, আরটিআরএল ল্যাবে ১২ নমুনায় ৮ জন এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৫ নমুনায় ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চট্টগ্রামের ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মেলে।