স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, সবার সহযোগিতায় জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে আমরা করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। ইদানিং জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি না মানার অভ্যাস গড়ে উঠার কারণে করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে। আমরা সচেতন না হলে করোনার তৃতীয় ধাপ মোকাবেলা করা সম্ভব হবেনা। তাই করোনা প্রতিরোধে এখন থেকে সকলের মাস্ক পরিধান নিশ্চিতসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। ঘনঘন হাত ধোয়ার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আমরা সকলে সচেতন হলে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র কেন্দ্র (ডিএসকে)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নগরীর নিম্নআয়ের পরিবারের কিশোরীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২ কেজি হুইল পাউডার, ৬টি লাইফবয় সাবান, ৬টি হুইল সাবান, ৬ প্যাকেট স্যানিটারী ন্যাপকিন ও ১টি সুফি ওয়াটার বোতল। ডিএসকে’র ওয়াশ কার্যক্রমের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাতের সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ডিএসকে’র কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব। বক্তব্য রাখেন ডিএসকে’র পিও উজ্জ্বল শিকদার, দিলীপ নারায়ন দাস, টেকনিক্যাল অফিসার সুব্রত পাল ও কমিউনিটি মবিলাইজার মাহবুব-এ খোদা।
উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মো. নূর হোসেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর টিটু কান্তি পাল ও ডিএসকেসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ডিএসকে’র ওয়াশ কার্যক্রমের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাত বলেন, ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় ওয়াটার এইডের আর্থিক সহায়তায় ডিএসকে’র কিশোরীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমটি সমাজের সবধরণের মানুষের কাছে সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই ধরণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি