নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা চিকিৎসায় রাজি না হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০ চিকিৎসক ও একজন স্টোরকিপারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে এসব চিকিৎসকদের যোগ দেয়ার জন্য অফিস আদেশ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা যোগ না দেয়ায় মঙ্গলবার তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতির নির্দেশ দেওয়া হয়।
কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী সেই অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করেন। এবিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এসব ডাক্তারদের অনেক আগেই এখানে কাজ করার জন্য বদলির আদেশ দিয়েছিলাম। এরা আমাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ছিল। করোনাকালে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ১০ চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত কিছুদিন আগে আইসোলেশন সেন্টারটি মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উদ্বোধন করলেও তারা কাজে যোগ দেয়নি।’
তিনি আরো বলেন, তাদের অনেকে ফোন রিসিভ করছেন না, আবার কেউ রিসিভ করলেও করোনা চিকিৎসায় কাজ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। একজন ডাক্তার হয়ে দেশের এই দুর্যোগে সেবা দিবে না তা হতে পারে না। ডাক্তাররা যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে সেবা দিবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্যই তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এরা সবাই অস্থায়ী চিকিৎসক ছিল্ তবে আগামীতে স্থায়ীকরণে এদের অগ্রাধিকার হবে বলে জানানো হয়েছে। একইসাথে সরকার ঘোষিত সকল প্রণোদনাও এরা পাবেন কলে জানানো হয়েছিল।’
তাহলে এখন কিভাবে এই আইসোলেশন সেন্টার চালু করবেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আবার বিভিন্ন ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
এদিকে অব্যাহতি প্রাপ্ত চিকিৎসকরা হলেন- মেডিক্যাল অফিসার ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আক্তার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিৎ মিত্র। এছাড়া অব্যাহতি পাওয়া স্টোর কিপার হলেন মহসিন কবির।
এ মুহূর্তের সংবাদ