মহানগরীতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও অগ্রগতি নিয়ে গঠিত কমিটির সভা বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকবেলায় প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে ভ্যাক্সিন নেয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, নগরীতে যারা ভ্যাক্সিনের প্রথম ডেজ নিয়েছেন তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের প্রস্তুতি নিজ দায়িত্বে নির্ধারিত তারিখে গ্রহণ করতে হবে।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সচেতন না হলে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ অত্যন্ত ভয়াবহ। সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ ও পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় সংক্রমণের হার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এটি ঘটছে কেবল মাত্র মাস্ক না পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় ব্যাপক অনীহা। তিনি বলেন, আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলি তবে এটি খুব স্বাভাবিক যে আরও বেশি লোক সংক্রমিত হবে। মেয়র আরও বলেন, ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পর মানুষ করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ সেটি মনে করা উচিত নয়।
মেয়র আরও বলেন, নগরবাসীকে সচেতন করার জন্য নগরীর প্রতিটি এলাকায়,মার্কেটের সামনে চসিক এর পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। তবে প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাইকিং ও মাস্ক প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করলে জনগণ আরো সচেতন হবে।
এ সময় প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা.হাছান শাহরিয়ার, সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ পরিচালক ড. মো.শফিকুল ইসলাম, ডিএসএইচই পরিচালক প্রফেসর এইচ.এ.আরিফ ইলাহি, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক নুসরাত সুলতানা, সিএমপি’র ডিসি (ক্রাইম) জয়নুল আবেদীন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চমেকে’র সহকারী পরিচালক ডা. সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী, চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলীসহ জোনাল মেডিকেল অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি