নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শৈবালসহ বেশকিছু পয়েন্টে আবারও ভেসে এসেছে অসংখ্য জেলিফিশ। শনিবার সকালে জোয়ারের পানি নেমে গেলে মৃত জেলিফিশগুলো সৈকতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ নিয়ে সৈকতে বেশি পরিমাণে কয়েক দফায় মৃত জেলিফিশের দেখা মিলল। এছাড়া প্রতিদিনই কমবেশি জেলিফিশ সৈকতে ভেসে আসছে। এর আগে গত ১১ নভেম্বর বেশ কিছু পরিমাণে কলাতলী পয়েন্টের উত্তর পাশে মৃত জেলিফিশ ভেসে আসে।
সকালে জেলিফিশ ভেসে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মী মো. বেলাল হোসেন। তিনি জানান, টানা জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন জালে আটকে পড়ে মারা যায় জেলিফিশগুলো। টানা জাল থেকে জেলেদের ফেলে দেওয়া মৃত জেলিফিশ ভাসতে ভাসতে সৈকতে চলে আসে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি মৃত জেলিফিশ সৈকতে এসেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার জানান, কক্সবাজার সমুদ্রের জেলিফিশের প্রজনন অনেক বেশি। কিন্তু জেলেদের কাছে এ মাছের কোনো গুরুত্ব না থাকায় মেরে সাগরে ফেলে দেয়। মরে যাওয়া মাছগুলো কূলে ভেসে আসে। ভেসে আসা জেলিফিশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও জানান, লোবোনিমুইডিস রোবোস্টাস বা স্থানীয় ভাষায় সাদা নুইন্না প্রজাতির এই জেলিফিশের সংস্পর্শে গেলে কোনো ধরনের ক্ষতি হয় না। বরং এটি খাদ্য হিসেবে বেশ উপযোগী। প্রক্রিয়াজাত করে জেলিফিশ খাবার উপযোগী করার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চলছে।
স্থানীয় ভাষায় জেলিফিশকে নুইন্না বলা হয়। হাবিবুর রহমান নামের এক জেলে বলেন, ‘কক্সবাজারের মানুষ জেলিফিশ খায় না। এগুলো বেচাকেনাও হয় না। ফলে এসব আমাদের কোনো কাজে আসে না। কিছু প্রজাতির জেলিফিশ গায়ে লাগলে বেশ চুলকায়। তাই এসব জালে আটকা পড়লে আমরা ফেলে দিই।’
গত ৩ ও ৪ আগস্ট এবং ১১ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বিপুল পরিমাণে জেলিফিশ ভেসে আসে। এসব জেলিফিশের নমুনা নিয়ে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিওআরআইর) বিজ্ঞানীরা।