মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সকল সংকীর্ণতা পরিহার করে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি তাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই আমাদেরকে সামনের পথ দেখাবে। এই দৃঢ় প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে তৃণমূল স্তর থেকেই দলীয় আদর্শে যারা বিশ্বাসী এবং ব্যক্তিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে আছেন তাদেরকে নিয়েই দলকে সংগঠিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার জেল হত্যা দিবস পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত থিয়েটার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদেরকে আমরা যথার্থভাবে স্মরণ করছি না। আমি চাই এদেরকে যথার্থভাবে স্মরণ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের অস্তিত্বের শেকড়কে খুঁজে পাবো। অনেকেই দাবি করেছেন এই দিন থেকে রাষ্ট্রীয় দিবস পালন করা হোক। আমি মনে করি এই দিনটি প্রতিদিন আমাদের অন্তরে থাকবে। কারণ তারাই আমাদের বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা ব্যর্থ হয়েছি। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা ভূমিকা, মূল্যায়ন এবং অবদানকে যদি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারতাম তাহলে বিএনপি ও জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা যেত।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস এবং ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যাকারী অপচেষ্টাকারীরা একই সূত্রে বাঁধা। এরা এখনো সক্রিয়। এদের আমরা নির্মূল করতে পারিনি বলেই আমরা কেউ নিরাপদ নয়। এদের নির্মূল করতে পারলেই আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব এবং শান্তি ও সাম্য নিশ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন আমাদেরকে মনে রাখতে হবে শত্রুরা চারদিকে বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলতে চায়। এরা যাদের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে তাদের মধ্যে যারা আছেন তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সূচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে ৪ঠা ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে যে নির্দেশনা দেবেন তা অনুসরণ করেই আরেকটি বিজয় অর্জন করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন, চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শফিক আদনান, অ্যডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, আবু তাহের, মো. শহিদুল আলম, মো. ইলিয়াছ, মোমিনুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, মো. জাকারিয়া ও মো. জানে আলম। সভার শুরুতে জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি