চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি বলেছেন, মানুষের জন্ম একবার, মৃত্যুও একবার। তাই জন্ম-মৃত্যু সনদ থাকবে একটি করে। দেশের সকল নাগরিক যদি জন্ম ও মৃত্যু সনদের আওতায় আসে তাহলে এ দেশের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান হিসাব করতে সহজ হবে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
একজন ব্যক্তির একাধিক জন্ম সনদ থাকতে পারবে না। রোহিঙ্গারা যাতে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আয়োজিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ইউনিসেফ’র সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়। তিনি বলেন, এই বছর রাজশাহী বিভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে। আগামীবার এই অর্জন যেন চট্টগ্রাম বিভাগের হয় অর্থাৎ জেলা পর্যায়ে যেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচিত হয় এ জন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের লক্ষ্য অর্জনে এ বছরে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ উপজেলা আনোয়ারা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ ইউনিয়ন/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য সহকারী/ পরিবার পরিকল্পনা সহকারীদের নিকট থেকে সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. উখ্য উইন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. বদিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ। চট্টগ্রাম কালেক্টরেটের অফিসারবৃন্দ, ইউনিসেফ’র প্রতিনিধি, চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
একাধিক জন্ম সনদ থাকতে পারবে না
সভায় বিভাগীয় কমিশনার