সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি’র একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সকালে (সোমবার, ৬ মে) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের দাপট বেড়েছে।
টিআইবি জানিয়েছে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ শতাংশ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯ শতাংশ এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসায়ী।
১৪৪টি উপজেলায় প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশকালে টিআইবি এ তথ্য জানায়।
টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে একই উপজেলায় ৫৩ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে এসব উপজেলায় ৪৮ শতাংশ প্রার্থী ছিলেন ব্যবসায়ী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৭২৩ জন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে ১৪৬৭ জন এবং এবারের নির্বাচনে ১৬০৬ জন প্রার্থী রয়েছেন।
টিআইবি জানিয়েছে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ শতাংশ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯ শতাংশ এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসায়ী।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৯৪ জন চেয়ারম্যান, ১৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ১১৭ জন প্রার্থীর প্রত্যেকের এক কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।।
এই ধরনের প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও জানায় টিআইবি।
২০১৯ সালের নির্বাচনে মোট ৪৫ জন প্রার্থীর এক কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ ছিল। ২০১৪ সালে ছিল ৩৪ জনের।
টিআইবির প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ২২ শতাংশ ঋণগ্রস্ত। আর হলফনামায় গৃহিনী হিসেবে পরিচয় দেয়া নারী প্রার্থীদের ১৯ শতাংশই ব্যবসায়ী। এছাড়া নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে তিনগুণ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা। খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যানের ৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে ৩ হাজার ৩১৯ শতাংশ।
নির্বাচনী হলফনামায় প্রায় ৯৩ ভাগ প্রার্থী কোটি টাকার নিচে আয় দেখিয়েছেন। প্রার্থীদের ১৭ শতাংশই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনীতির সাথে ব্যবসায়ীদের মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক। যাদের অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।